বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বিনামূল্যে আসল মাষ্টার কার্ড নিয়ে নিন!!

সুবিধাগুলো ০১. ১০০% আসল মাষ্টার কার্ড আপনার কাছে পাঠানো হবে। ০২. প্রায় সকল ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করতে পারবেন (যেমন hostgator, namecheap, godaddy, amazon etc)

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Saturday, January 25, 2014

ইউটিউবের গোপন ১০ ফিচার


প্রতিদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখতে লাখ লাখ মানুষ ভিজিট করেন। ইউটিউবের এমন কতগুলো ফিচার রয়েছে যেগুলো অনেকেরই অজানা। ইউটিউবের গোপন ১০টি ফিচার নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।১. শেয়ার
ইউটিউবের ভিডিও কনটেন্ট ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে হলে প্রথমে ভিডিওটি চালু করুন। এরপর ভিডিওর মাঝখানে রাইট মাউস ক্লিক করলে একটি মেনু দেখাবে। তাতে কপি ভিডিও ইউআরএল অ্যাট কারেন্ট টাইম-এ ক্লিক করুন। এতে ভিডিওটির ইউআরএল কপি হবে। কারেন্ট টাইমে ক্লিক করলে আপনি যেখান থেকে চান, সেখান থেকে ভিডিও দেখাতে পারবেন।
২.  প্লে/পজ
ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় যদি বিরতি দিতে চান তবে মাউস দিয়ে পজ বাটনে ক্লিক করলেই হয়। কিন্তু এর পরের বার কিবোর্ডের স্পেস বাটন ব্যবহার করুন। মাউসের চেয়ে কিবোর্ডের মাধ্যমে সহজে পজ করা যায়। পুনরায় ভিডিওটি চালু করতে কিবোর্ডের স্পেস বাটন প্রেস করুন। ভিডিওটি চলতে শুরু করবে।
৩. সামনে ও পেছনে টেনে দেখা
আপনি যদি ভিডিও সামনে বা পেছনে টেনে দেখতে চান তখন কিবোর্ডের লেফট অ্যারো কি ও রাইট অ্যারো কি ব্যবহার করতে পারেন। মাউসের মাধ্যমে এ কাজটি করতে বেশি সময় লাগে। অথচ কিবোর্ড ব্যবহার করে দেখুন, যথেষ্ট সহজ হয়ে যাবে।
৪. পরে দেখতে
ধরুন আপনি কোনো ভিডিও দেখছেন। প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে। জরুরি প্রয়োজনে আপনাকে এখন উঠতে হবে। তবে ভিডিও দেখা বন্ধ করলেই আবার শুরু থেকে দেখতে হবে এমন কথা নেই। আপনি চাইলে পরেও যেখানে শেষ করেছেন সেখান থেকেই আবার দেখা শুরু করতে পারেন। এ জন্য ‘ওয়াচ লেটার’ বাটনে প্রেস করুন। এটি দেখতে ঘড়ির মতো। এতে পরবর্তীতে আপনাকে আবার ভিডিওটি খুঁজে বের করতে হবে না। সহজেই আগের ভিডিওতে ফিরে যেতে পারবেন।
৫. বিষয় নিষ্ক্রিয় করে দিন
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিডিও দেখতে না চান, তবে আপনি সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেন। এ জন্য এমবেড কোডে গিয়ে ইউআরএল-এর শেষে ?rel=0 যুক্ত করুন।
৬. রিপিট ভিডিও:
আপনি যদি ইউটিউবের কোনো ভিডিও বারবার দেখতে চান তবে সেটিকে রাখুন ইউটিউব রিপিটারে। এ জন্য ভিডিওটি সিলেক্ট করার পর অ্যাড্রেস বারে ইউটিউব লেখার পর রিপিটার শব্দটি যোগ করতে হবে। অর্থাৎ ইউটিউব অ্যাড্রেস তখন হবে অনেকটা এ ধরনের- http://www.youtuberepeater.com/watch?
৭. কাস্টমাইজড সার্চিং
আপনি যদি সার্চ রেজাল্ট অনুসন্ধান করতে চান, তাহলে নম্বরের কোড ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি হাই ডেফিনিশন (এইচডি) কোনো ভিডিও দেখতে চান তবে কাস্টমাইজড সার্চ বক্সে এইচডি নির্বাচন করুন। এছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন অপশনও নির্বাচন করে ছোট ও বড় ভিডিও খুঁজতে পারেন। এভাবেই অনুসন্ধান করতে পারেন থ্রিডি ভিডিও। এছাড়া ২০ মিনিটের চেয়ে লম্বা ভিডিও পেতে লিখুন লং। সার্চ বক্সে শর্ট লিখলে সর্বোচ্চ চার মিনিটের ভিডিওর তালিকা দেখাবে।
৮. অন্য ভাষায় খুঁজুন
ইউটিউবে বিভিন্ন ভাষায় আপলোড করা বিষয়বস্তু খুঁজে বের করা যায়। ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য ভাষায় বিষয়বস্তুর উপর নির্মিত ভিডিও দেখতে ইউটিউব পেইজের একেবারে নিচে গিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ অপশনটি পরিবর্তন করুন। এখানে আফ্রিকানস থেকে ভিয়েতনামিজ যে কোনো ভাষায় পরিবর্তন করতে পারেন। এরপর কিবোর্ডের মাধ্যমে নির্বাচিত ভাষায় অনুসন্ধান করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সার্চ বক্সে লেখার সময় কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাবে। যেমন হিব্রু ভাষায় লিখতে গেলে তা বাম থেকে ডান দিকে লেখা হবে। এতে পেইজের আকৃতিও নতুনভাবে দেখা যাবে।
৯. এমবেড করুন ভিডিও
আপনি যদি অন্য কোনো ওয়েবসাইটে ইউটিউবের ভিডিও আপলোড করতে চান, তবে শেয়ার বাটনে প্রেস করুন। এবার এমবেড-এ গিয়ে আপনি ভিডিওটি দেখার উইন্ডোর আকার ছোট বড় করতে পারেন।
১০. ধীরগতির ইন্টারনেট
আপনার ইন্টারনেট সংযোগ যদি ধীরগতির হয়, তখন ইউটিউবে ভিডিও দেখতে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন ইউটিউব ফেদার। এখান থেকে আপনি লো ভার্সনের ভিডিও দেখতে পারবেন। এভাবে ভিডিও দেখার সময় কিছু বাটন ও ফিচার দেখাবে না। এতে তুলনামূলক কম সময়ে ভিডিও লোড হবে।
ইউটিউব ফেদার সেট করতে অ্যাড্রেস বারে টাইপ করুন http://www.youtube.com/feather_beta  এরপর সেখান থেকে ফেদার বেটা সেট করে নিতে হবে। (-সংগ্রহীত-)

অ্যান্ড্রয়েডের পরের চমক টাইজেন!


সিম্বিয়ানের মজা শেষ হতে না হতেই যে অপারেটিং সিস্টেম সবার মন জয় করতে পেরেছে তা হল অ্যান্ড্রয়েড। গুগলের এই ফ্রি অপারেটিং সিটেমের ব্যবহারবান্ধব ফিচার সবার কাছেই নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পেরেছিল। কিন্তু এরই মধ্যে একে টেক্কা দিতে চলে আসছে নতুন নতুন আরো অপারেটিং সিস্টেম। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি যেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা হল ‘টাইজেন” ।
 ‘টাইজেন’ অ্যান্ড্রয়েড এর মতই এক ধরনেরর অপারেটিং সিস্টেম। আর এটা নিয়ে সব চেয়ে বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে স্যামসাং। আর তারাই চাচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড এর বদলে মানুষ টাইজেনের দিকে ঝুঁকুক। এর কারণ অ্যান্ড্রয়েড অনেক কোম্পানি ব্যবহার করলেও টাইজেন একদমই নতুন। তাই কোনভাবে যদি মানুষকে এর দিকে নিয়ে আসা যায়, তবে বিশাল অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মার্কেট দখল করতে পারবে স্যামসাং। আর এতে করে গুগলকে যে লাইসেন্স ফি দিতে হয় সেটাও তাদের সাশ্রয় হবে। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারার বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্যামসাং।
 টাইজেন হচ্ছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। এটি ডেভেলপ করে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য এর সাথে ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে ৩৬টি বিশ্বখ্যাত কোম্পানি। এর মধ্যে কোনামি, ম্যাকাফি, প্যানাসনিক, দি ওয়েদার চ্যানেল এবং ইবে অন্যতম। ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে থাকা Appbackr নামের কোম্পানির ট্রেভর কর্নওয়েল জানান, আরও দক্ষ কোডিং-এর প্রতিশ্রুতি এবং আইওএস বা অ্যান্ড্রয়েডের বাধা ভেঙে ডেভেলপারদের এইচটিএমএল ৫, সিএসএস এবং জাভাস্ক্রিপ্টে কোডিং করার সুবিধা দেয় টাইজেন। যা এসব কোম্পানিকে আরও বেশি আকৃষ্ট করেছে।
টাইজেন জানিয়েছে, তারা চাচ্ছে আরও কোম্পানি তাদের সাথে চুক্তি করতে চাইলে তারা হাসিমুখেই তাদের সাথে যুক্ত হবে। এর কারণ হিসেবে তারা জানান, যত বেশি কোম্পানি তাদের সাথে থাকবে তাদের প্রচারও ততটা বাড়বে। আর এতে করে বাজারে আসার আগেই এর গ্রাহক তৈরি হয়ে যাবে।
টাইজেন তৈরি হয়েছে নোকিয়া আর ইন্টেলের ‘মিগো’ অপারেটিং সিস্টেমকে ডেভেলপ করে। এর সাথে আছে স্যামসাং বাডা ওএস, যা নিজেদের অপারেটিং সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে অ্যান্ড্রয়েড এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে টাইজেনকে দাঁড় করাচ্ছে। যে কারণে বোঝা যাচ্ছে কয়েক ধরনের প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে। সব মিলিয়ে সহজেই আন্দাজ করা যায় কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং কতটা উঠেপড়ে লেগেছে টাইজেনকে তুলে ধরতে।
নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি আর গেম পাবলিশাররাও যুক্ত হয়েছে টাইজেন নিয়ে কাজ করতে। এদের সবার নাম প্রকাশ করা হয় টাইজেনের ডেভেলপার সামিটে। এদের বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছ থেকে জানা গেছে টাইজেনের ফ্লেক্সিবিলিটি আর ওপেনসোর্স পরিবেশের কারণেই এরা আগ্রহ দেখাচ্ছে এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি। সেই সঙ্গে জাভাস্ক্রিপ্টে কোডিং করা কিংবা এইচটিএমএলে কোডিং করার মত সুবিধা এর প্রতি ডেভেলপার কোম্পানিদের আগ্রহের অন্যতম কারণ।
এ ধরনেরর কিছু সুবিধা দিয়ে ফায়ারফক্সের ওএস অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসলেও তা অ্যান্ড্রয়েড এর জনপ্রিয়তায় খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের কিছু জায়গায় এর মোটামুটি জনপ্রিয়তা লক্ষ করা যায়। তাই একে অ্যান্ড্রয়েড এর প্রতিদ্বন্দ্বী বলা যায় না।
তাই সবাই অপেক্ষা করছে, যে টাইজেন নিয়ে সবার এত আগ্রহ, এত আলোচনা সেটা কেমন করে বাজারে আসে। কিন্তু সেটা দেখার জন্য আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এ বছরের শেষে এটা বাজারে ছাড়ার কথা থাকলেও এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

-সংগ্রহীত-

Friday, January 24, 2014

ইন্টারনেটে গ্রহণ করা যাবে খাবারের স্বাদ


কোন দোকানের খাবার কেমন সুস্বাদু সেটা জানার জন্য কষ্ট করে সেই দোকানে যাওয়ার দিন ফুরাচ্ছেঅচিরেই কারণ বিজ্ঞানীরা এমন একটি গেজেট আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমেইগ্রহণ করা যাবে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীগণের আবিষ্কৃত এই বিশেষ গেজেটটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ডিজিটালটেস্ট ইন্টারফেস

জানা যায়এই গেজেটের মাধ্যমে কেউ কোনো খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে চাইলে প্রথমে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েসেটির ছবি কম্পিউটারের মনিটরে হাজির করতে হবে তারপর একটি বিশেষ প্যাডের মধ্যে জিহ্বা লাগিয়ে ওইখাবারের ইলেক্ট্রোকোড চাপতে হবে আর তারপরেই সেটি জিহ্বায় বিশেষ মাত্রায় বিদ্যুৎ করবেযা আপনাকেবিভিন্ন খাবারের স্বাদ দেবে

আবিষ্কারক দলের প্রধান নিমিসা রানাসিংহে জানানএই গেজেটটির মাধ্যমে ইচ্ছে করলে কম্পিউটারগেমও খেলা যাবে এছাড়া চাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন খাবার অন্যের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারবে

বর্তমানে এই বিজ্ঞানীগণ কাজ করছেন ‘ডিজিটাল ললিপপ বানানোর প্রজেক্ট নিয়ে যার মাধ্যমে ডায়াবেটিসআছে এমন ব্যক্তিগণও ভার্চুয়ালি মিষ্টির স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন

নিমিসা রানাসিংহে বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎফ্রিকোয়েন্সি এবং তাপকে নিপুনভাবে ব্যবহার করে কোনোকিছুকে লবণাক্তটকমিষ্টি কিংবা তিতকুটেও করতে সক্ষম

তবে এই বিজ্ঞানীগণ বলছেনসব ধরনের স্বাদ ভার্চুয়ালি তৈরি করতে পারলেও কেবল একটি রয়ে গেছে এখনোঅধরা যেমন সুগন্ধি মশলা দিয়ে মাশরুমবাঁধাকপি কিংবা টমেটো রান্না
-সংগ্রহীত-

ল্যাপটপের চার্জ ধরে রাখার সহজ ৬ কৌশল


আপনার হাতে একগাদা কাজ। অথচ, ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেছে। কাছাকাছি কোন পাওয়ার সকেটও নেই, যেখান থেকে ল্যাপটপটি চার্জ দিয়ে নিতে পারেন। ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের এ ধরনের সমস্যায় হরহামেশাই পড়তে হয়।
দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ, ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার কিছু সহজ সমাধান রয়েছে। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের উচিত এ বিষয়গুলোকে দৈনন্দিত অভ্যাসে পরিণত করে নেয়া। তা হলে আর অনাকাক্সিক্ষত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। নিচে সহজ ৬টি টিপস দেয়া হলো:
ডিসপ্লে: মোবাইলের মতো ল্যাপটপ স্ক্রিনও বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে। সে কারণে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা চোখের জন্য সহনীয় মাত্রায় যতোটা কমিয়ে ব্যবহার করা যায়, ততোটাই ভালো। যদি আপনার কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকে, তবে সেটিও সেটিংস থেকে বন্ধ করে দিন। এতে ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত হবে।
 এক্সটার্নাল ডিভাইস: ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে যে কোন ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস চালু থাকলে, তা আপনার ল্যাপটপ থেকে অনবরত পাওয়ার টানতে থাকবে। এক্সটার্নাল ডিভাইসটির কাজ শেষ হয়ে গেলে, সেটি ইউএসবি পোর্ট থেকে খুলে ফেলার অভ্যাসই শ্রেয়।
ওভারহিটিং বা অতিরিক্ত গরম হওয়া: ল্যাপটপ বেশি গরম হলে, ভেতরের ফ্যানগুলো আরও দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। আর তা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ব্যাটারি খরচ করে। সে কারণে একটি ল্যাপটপ কুলার কিনে নিন। এতে আপনার ল্যাপটপটি অতিরিক্ত গরম হবে না।
হাইবারনেশনে রাখুন: ল্যাপটপ স্ট্যান্ডবাই মোডে না রেখে হাইবারনেশনে রাখুন। এতে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যাবে ও ব্যাটারির চার্জ অনেক বেশি সময় থাকবে। হাইবারনেশনে ল্যাপটপ বন্ধ হলেও, আপনি শেষ যেভাবে কাজগুলো সংরক্ষণ করছিলেন বা যে উইন্ডোগুলো খুলেছিলেন, ল্যাপটপটি চালু করলে ঠিক সে অবস্থাতেই সেগুলো পাবেন।
উইন্ডোজের পাওয়ার প্ল্যান: ল্যাপটপে উইন্ডোজের সঙ্গে বিল্ট-ইন পাওয়ার প্ল্যান সেটিংসও পাচ্ছেন। তাই চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন অপশন; যেমন- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমানো, কখন ডিসপ্লে ডিম বা অনুজ্জ্বল করতে এবং বন্ধ করতে চান, হার্ড-ড্রাইভসমূহ ও ইউএসবি পাওয়ার বন্ধ করতে চান, সেগুলো সংযোজিত রয়েছে।
ব্যাটারি কেস: এ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যাটারির সম্পূর্ণ স্ট্যাটাস দেখায়। শুধু তাই নয়। কতোটুকু ব্রাইটনেসে ব্যাটারি কতোক্ষণ চলবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সেখানে। ব্যাটারির বর্তমান কন্ডিশন কেমন, তাও জানতে পারবেন। সিপিইউ ও হার্ড-ড্রাইভ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলেও, সেটা প্রদর্শন করে ব্যাটারি কেস অ্যাপ্লিকেশন।

Saturday, January 18, 2014

কমেন্ট করে আয় করুন

আসসালাইমু আলঅইকুম, কেমনন আছেন সবাই? ভাল তো? আজ আপনাদের সামনে অনলাইনে আয়ের জন্য সুন্দর একটি সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। যেখানে শধু কমেন্ট করতে হবে। কমেন্ট করবেন সর্বনিম্ন দউ বাক্যের মধ্যে। কমেন্টি সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। আর কমেন্ট করে আয় করতে হলে প্রথমেই আপনাকে সেই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

রেজিষ্ট্রেশন করতে যা যা লাগবে
একটি ইমেইল আইডি
পাসওয়ার্ড
জন্ম তারিখ
দেখে নিন রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
-প্রথমেই এই লিঙ্কে প্রবেশ করুন
-তারপর "Create Free Account" এই লেখার উপর ক্লিক করুন।
-এই রেজিষ্ট্রেশন ফরমটি পূরণ করতে হবে


UserName: 
Password: 
Email: 
Country: 
  Bangladesh
Gender: 
Date of Birth: 

-পূরণ শেষে By typing the text below I agree to the T.O.S. যেটা লিখতে বলবে তা লিখে নিচের এই লেখার উপরে ক্লিক করতে হবে Create Free Account।
ব্যাস রেজিষ্ট্রেশন প্রকিয়া শেষ।

এবার আসুন কমেন্ট করার পদ্ধতি

রেজিষ্ট্রেশন প্রকিয়া শেষ হলে অটোমেটিক লগইন হয়ে যাবে।
পথমপাতায় থাকবে দশটি এ্যাড।
এখান একটি এ্যডের উপর ক্লিক করলে কমেন্ট করার জন্য একটি বক্স আসবে।
আপনি দেখে বুঝে কমেন্ট করুন।ৱ
তারপর হোম/home বাটনে ক্লিক করুন। এবার বাকি নয়টি এ্যাড দেখতে পাবেন। এভাবে এ্যাড কমেন্ট করা শেষ করে হোম/home এ ক্লিক করে দশটি এ্যাড ই শেষ করুন।
এভাবে দশটি এ্যাডে কমেন্ট করুন। আপনার কাজ শেষ।
প্রতি কমেন্টে $.30 ডলার। রেফারেলের মাধমেও আয় বাড়াতে পারেন।
দশটি এ্যাডে কমেন্ট করুন পেয়ে যাবেন $3 ডলার। তো আর দেরি কেন
এখনি শুরু করুন। ১৫ ডলার না হলে তুলতে পারবেন না।

Sunday, January 12, 2014

এপ্রিলে আসছে গ্যালাক্সি এস৫

স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন গ্যালাক্সি এস৫ নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে রয়েছে নানা গুঞ্জন। কবে নাগাদ এটি বাজারে আসবে, সেই জল্পনাতে সময় কাটছে অনেকের। সেই জল্পনার অবসান ঘঠেছে অবশেষে। স্যামসাংয়ের মোবাইল এক্সিকিউটিভ ভিপি লি ইয়ং-হিকে উদ্বৃত করে দ্য ভার্জ জানিয়েছে, আসছে এপ্রিলে বাজারে আসবে গ্যালাক্সি এস৫। আর এর সঙ্গী হয়ে আসবে নতুন সংস্করণের গ্যালাক্সি গিয়ার। আকার-আকৃতি, ডিসপ্লেতে এস৫-এ আসবে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আর প্যাস্টেল কালার স্কিম এবং হালকা ফন্টে নতুন একটি অ্যান্ড্রয়েড স্কিনও যুক্ত হবে নতুন এই ফোনে।

জিমেইলের নতুন ফিচারে তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে বিতর্ক

প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে জিমেইল আরও বেশি গ্রাহককে আকৃষ্ট করে চলেছে। এবারে এতে চালু করা হয়েছে নতুন ফিচার। এর মাধ্যমে যেকোনো জিমেইল ব্যবহারকারী যেকোনো গুগল অ্যাকাউন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট জিমেইল ঠিকানায় ইমেইল পাঠাতে পারবে। জিমেইল বা গুগল প্লাসের ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ ইমেইল ঠিকানা সবার সাথে শেয়ার না করলেও জিমেইলে নতুন ইমেইল লেখার সময় জিমেইল এবং গুগল প্লাসের সকল ব্যবহারকারীর ঠিকানা পরামর্শ আকারে হাজির হবে। পাশাপাশি জিমেইলে অ্যাকাউন্ট খুললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট তৈরি হবে। অবশ্য চাইলে গুগল প্লাস অ্যাকাউন্টকে নিস্ক্রিয়ও করা যাবে। জিমেইলের গ্রাহকদের পারস্পারিক যোগাযোগ আরও সুবিধাজনক করার উদ্দেশ্যেই এই ফিচারটি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। তবে নতুন এই ফিচারটি ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। এর আগে গুগল বাজের মাধ্যমে জিমেইল অ্যাকাউন্টের ঠিকানা অনলাইনে উন্মুক্ত করে গুগল। ইলেক্ট্রনিক প্রাইভেসি ইনফরমেশন সেন্টারের প্রাইভেসি ক্যাম্পেইনার মার্ক রটেনবার্গ আশংকা করেছেন জিমেইলের নতুন এই ফিচারটি গুগল বাজের মতোই কোনো একটি অনুরূপ ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছে। সম্প্রতি জিমেইলের নিজস্ব ব্লগে এই ফিচারটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, জিমেইলে নতুন ইমেইল লেখার সময় প্রাপকের ইমেইল ঠিকানা লিখতে গেলেই জিমেইল ও গুগল প্লাস অ্যাকাউন্টে ব্যবহূত ইমেইল ঠিকানাগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাজির হবে। যেসব জিমেইল ঠিকানা জানা নেই, সেগুলোও হাজির হবে এই তালিকায়। এর মাধ্যমে সাধারণভাবে যে কারও গুগল ইমেইল ঠিকানাতেই যে কেউ ইমেইল করতে সমর্থ হবে। তবে গুগল প্লাসের ব্যবহারকারীরা নিজেদের ইমেইল ঠিকানাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির ইমেইল আসা বন্ধ করতে চাইলে তা সেটিং পরিবর্তন করতে হবে। নতুন ফিচারটি চালু হলেই এই সেটিং সংক্রান্ত বার্তা পাবেন সকল জিমেইল ব্যবহারকারী। গুগল প্লাস এবং জিমেইলের ব্যবহারকারীদের আরও কাছে আনতেই এই উদ্যোগ—এমনটিই জানিয়েছেন গুগল'র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ডেভিড ন্যাচাম।

Saturday, January 11, 2014

বিশ্বের প্রথম ইউএইচডি ডিসপ্লের ল্যাপটপ


এইচডি বা হাই ডেফিনেশন মানের তুলনায় চারগুণ বেশি রেজুলেশনের আলট্রা হাই ডেফিনেশন বা ফোরকে ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ তৈরি করেছে তোশিবা। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিশ্বে তারাই প্রথম ফোরকে ইউএইচডি ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ উন্মুক্ত করছে।
৭ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে শুরু হওয়া কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ২০১৪ শো উপলক্ষে নতুন দুটি মডেলের ল্যাপটপ প্রদর্শন করছে জাপানের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান তোশিবা।
গত মঙ্গলবার টেকরা ডব্লিউ৫০ ও স্যাটেলাইট পি৫০টি মডেলের ল্যাপটপ দুটি প্রদর্শন করেছে তোশিবা। তোশিবা জানিয়েছে, বিশ্বে প্রথমবারের মতো ফোরকে প্রযুক্তির ডিসপ্লে যুক্ত করা হয়েছে এই দুটি মডেলে। অবশ্য উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ দুটির দাম এখনও প্রকাশ করেনি তোশিবা কর্তৃপক্ষ।
উইন্ডোজের সর্বশেষ সংস্করণের ফোরকে ডিসপ্লেনির্ভর ল্যাপটপ উন্মুক্ত করায় উইন্ডোজ নির্মাতা মাইক্রোসফটও উচ্ছ্বসিত। এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, পেশাদার ও উত্সাহীদের জন্য ১৫.৬ ইঞ্চি মাপের আলট্রা এইচডি ডিসপ্লেযুক্ত যে ল্যাপটপ এনেছে তাতে ফিচার হিসেবে থাকছে  উইন্ডোজ ৮.১ ওএস। এ ডিসপ্লের কারণে ল্যাপটপ ডিসপ্লে রেজুলেশনকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গেল তোশিবা।
এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই দুটি মডেলের ল্যাপটপ বাজারে ছাড়বে তোশিবা। এ ল্যাপটপে উন্নত মানের ছবি ও ভিডিও দেখার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারী।

পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে এখানে

ঘুম হোক পর্যাপ্ত

ঘুম হোক পর্যাপ্ত
গ্রিক দেবতা হিপনোসকে ঘুমের অধিকর্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ঘুম হচ্ছে হিপনোসের উপাসনা। হিপনোসের পুত্র মরফিয়াস আবার স্বপ্নের দেবতা। এদিকে রোমান পুরাণে হিপনোসের নাম হচ্ছে সমনাস। কোনো কোনো পুরাণে ঘুমকে বলা হচ্ছে দেবতার উপাসনা। বাইবেলে বর্ণিত আছে প্রথম পুরুষ এডামের পিঞ্জরাস্থি তুলে ইভ-এর সৃষ্টির সময় এডামকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। ঘুম নিয়ে মিথ যা-ই হোক না কেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে ঘুম হচ্ছে এমন একটা অবস্থা, যেখানে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী তার চারপাশ থেকে আলাদা হয়ে সাময়িকভাবে ‘অচেতন’ থাকে। তবে শরীরের ভেতরের বা বাইরের কোনো উদ্দীপনার কারণে আবার পূর্ণ চেতনা ফিরে পায়।

আমরা কেন ঘুমাব: গবেষকেরা একমত হয়েছেন যে শরীর ও মনের শক্তি পুনঃসঞ্চয় (রিস্টোর) করার জন্য এবং সব ধরনের শারীরবৃত্তিক কাজের সমতা রক্ষার জন্য ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্মৃতি ধরে রাখতে, আবেগকে পরিচালিত করতে ও মনঃসংযোগ বাড়াতে ঘুমের ভূমিকা আছে। হরমোনের নিঃসরণ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালাতেও ঘুমের প্রয়োজন।

কতটা ঘুমালে তবে ‘ঘুম’ বলা যায়: শরীর ও মনের জন্য কতটা ঘুম প্রয়োজন—এ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক, হয়েছে অনেক গবেষণা। কিছু মানুষ আছে, যাঁদের বলা হয় ‘শর্ট স্লিপার’, যাঁরা প্রতিদিন গড়ে ছয় ঘণ্টারও কম সময় ঘুমিয়ে তাঁদের স্বাভাবিক কাজগুলো সচল রাখতে পারেন। আর যাঁদের প্রতিদিন গড় ঘুমের পরিমাণ কমপক্ষে নয় ঘণ্টা, তাঁদের বলা হয় ‘লং স্লিপার’। কেউ কম ঘুমিয়েই তাঁর ঘুমের চাহিদা পূরণ করতে পারেন, আবার কারও লাগে বেশি ঘুম। সদ্য জন্মানো ছোট্ট শিশু দিনে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ঘুমায়, আর তিন থেকে ছয় বছরের শিশুরা দৈনিক প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটায়। পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের গড়পড়তা দৈনিক ঘুমের পরিমাণ সাত-আট ঘণ্টা। বৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের পরিমাণ ও গুণগত মান কমতে থাকে, ঘুম হয়ে আসে হালকা। গর্ভাবস্থায় রাতে ও দিনে ঘুমের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।

ঘুমের পর্যায়: ঘুমের দুটি পর্যায় থাকে। একটি নন-র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট (NREM) পর্যায়, আরেকটি র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট (REM) পর্যায়। প্রথম পর্যায়টি আমাদের ঘুমের ৭৫ শতাংশ অংশ জুড়ে থাকে। এ সময় আমাদের প্রায় সব শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। আর REM পর্যায়টি অনেক ছোট। এ সময় আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় জাগ্রত অবস্থার মতো সচল থাকে এবং আমরা এ পর্যায়ে স্বপ্ন দেখি।

ঘুমের সমস্যা যত: সাধারণভাবে আমরা ঘুম কম হওয়াটাকেই ঘুমের সমস্যা হিসেবে মনে করে থাকি। ঘুমের সমস্যার মধ্যে আছে পরিমাণের তারতম্য। ঘুম না আসা বা কম ঘুম হওয়া; যেমন ইনসমনিয়া। অসময়ে ঘুম আসা; যেমন নারকোলেপ্সি, সময়মতো ঘুম না আসা, ঘুমের গুণগত মান কমে যাওয়া, ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত নাকডাকা, ঘুমের মধ্যে হাত-পা ছোড়া, ঘুমের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করা বা কথা বলা বা ভয় পাওয়া বা দুঃস্বপ্ন দেখা বা দাঁত কিড়মিড় করা ইত্যাদি। প্রায় এক শ ধরনের ঘুমের সমস্যা চিহ্নিত করেছেন ঘুমবিশেষজ্ঞরা। কয়েকটি সাধারণ ঘুমের সমস্যার মধ্যে রয়েছে—

ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা: ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও ঘুম আসতে চায় না। অথবা ঘুম এলেও সেটার গুণগত মান খারাপ থাকে যে ঘুম শেষ হওয়ার পরও তন্দ্রাভাব থেকে যায়। বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

নারকোলেপ্সি: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের যে স্থান থেকে ঘুম নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সে জায়গার সমস্যা হলে এ রোগ হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দিনে হঠাৎ করে অসময়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

স্লিপ এপনিয়া: ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের জন্য বারবার ঘুম ভেঙে যায়। সাধারণত শ্বাসতন্ত্রের সার্জারির মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়।
রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম: পায়ে এমন এক ধরনের ঝিনঝিনে অনুভূতি হয় যে রোগী ঘুমাতে পারেন না; বরং বারবার পা নাড়াতে থাকেন।

সমনামবোলিজম: ঘুমের মধ্যে হাঁটা-চলা করা (স্লিপ ওয়াকার)। এ সময় হাঁটতে হাঁটতে তিনি কী করেন, সে বিষয়ে পরদিন তাঁর কোনো কিছু মনে থাকে না।
কেন এ সমস্যা: নানা কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে, যেমন:
ঘুমের জন্য অনুকূল পরিবেশ না থাকা। যেমন বেশি হইচই, আলো, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম ইত্যাদি।

অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন বা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণ।
ধূমপান বা যেকোনো মাদক গ্রহণ।
অতি উদ্বিগ্নতা (অ্যাংজাইটি), বিষণ্নতা, আবেগের সমস্যা, লঘু বা গুরুতর মানসিক রোগ।
তীব্র মানসিক চাপ বা স্ট্রেস, উৎকণ্ঠা, তীব্র শোক, কর্মক্ষেত্রে অধিক মানসিক চাপ।
দিনের বেলায় বেশি ঘুমানো বা শুয়ে কাটানো।
দীর্ঘ সময়ের বিমানভ্রমণ, যখন টাইম জোন পাল্টে যায়।
যেকোনো শারীরিক রোগ ও স্থূলতা।
ঘুমের সমস্যার সাধারণ কিছু লক্ষণ: ঘুম না আসা, আসতে দেরি হওয়া। দিনের বেলায় জেগে থাকতে না পারা। যখন-তখন, যেখানে-সেখানে ঘুমিয়ে পড়া। ঘুমের মধ্যে যেকোনো অস্বাভাবিক আচরণ করা। শ্বাসকষ্ট হওয়া, হাঁটা, কথা বলা, চিৎকার করা, হাত-পা ছোড়া ইত্যাদি।
নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর পর জেগে ওঠে তন্দ্রাভাব ও ক্লান্তবোধ করা।
মেজাজ খিটখিটে থাকা, মনোযোগ কমে যাওয়া, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া এমনকি খিঁচুনি হওয়া।

চিকিৎসা: ঘুমের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবার আগে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হলো—ঘুমের সমস্যা যাই হোক না কেন, এ জন্য কোনো অবস্থাতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবন করা যাবে না। ঘুমের সমস্যার রয়েছে নানা রকম বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা। যেমন, বিহেভিয়ার থেরাপি, স্লিপ রেস্ট্রিকশন থেরাপি, রিলাক্সেশন এবং কেবল চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী উপযুক্ত ঘুমের ওষুধ আর ঘুমের সমস্যা নির্ণয়ের জন্য পলিসোমনোগ্রাফ, মাল্টিপল স্লিপ লেটেন্সি টেস্ট ইত্যাদি পরীক্ষা করা যেতে পারে।
ঘুমের সমস্যা: কী করবেন: প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাবেন ও প্রতি সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন।
বিছানায় হেলান দিয়ে বিশ্রাম নেওয়া (বিশেষত বিকেলের পর) বর্জন করার চেষ্টা করুন।
হালকা ব্যায়াম অনেক ক্ষেত্রে ভালো ঘুমের সহায়ক।
ঘুমাতে যাওয়ার দুই-তিন ঘণ্টা আগে একটু বেশি সময় নিয়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে পেতে পারেন।
ঘুমের আধা ঘণ্টা আগে সামান্য হাঁটাহাঁটি, মেডিটেশন, গল্পের বই পড়াও ভালো ঘুমের জন্য উপযোগী।
শয়নঘরটিকে পরিপাটি, আরামদায়ক ও বাতাস চলাচলের উপযোগী। যদি রাতে বেশি সময় ইন্টারনেটে কাটাবেন না।
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই-চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। ভাজা, পোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
দিনের বেলা কিছুটা সময় সূর্যের আলোর নিচে কাটান।
রাতে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বর্জন করুন। বর্জন করুন নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল।
বিবাহিতদের জন্য নিয়মিত সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স ভালো ও পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য সহায়ক।
ঘুমাতে গিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা বর্জন করুন।
প্রয়োজনে নিতে পারেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ। তবে নিজে নিজে ঘুমের ওষুধ সেবন কখনোই নয়।

খাবারে আঁশের ভূমিকা

খাবারে আঁশের ভূমিকা
আঁশ হল খাবারের সেই অংশ যা পরিপাক হয় না এবং খাদ্য গ্রহণের পর এরা অবশোষরূপে জমা হয়ে মল তৈরী করে। আঁশ সাধারণত পুষ্টি রক্ষায় তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। কিন্তু সুস্বাস্থ্য রক্ষায় খাদ্যে আঁশের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আঁশের গুরুত্ব:
১. খাদ্যের আঁশ দেহের অতিরিক্ত চর্বি নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
২. খাদ্যের আঁশ মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠবদ্ধতাসহ বৃহদান্ত্রের বিভিন্ন রোগ যেমন-পাইলস, কোলাইটিস, এ্যাপেন্ডিসাইটস প্রভূতি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. খাদ্যের আঁশ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, কারণ অাঁশবহুল খাদ্য কম ক্যালরীযুক্ত হওয়ায় রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪.
খাদ্যের আঁশ কোলন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, খাদ্যের আঁশ ব্রেষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০গ্রাম আঁশ গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত আঁশ গ্রহণ আবার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি শোষনে বাধা দেয়। তাই সুস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে আঁশ গ্রহণ করা উচিত।
খাদ্যে আঁশের উৎস: খোসাসহ আস্তফল, শাক-সবজি, সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য, ডাল ইত্যাদি খাদ্যে আঁশের ভালো উৎস।

Wednesday, January 8, 2014

যারা যারা এখনও ৮ম শ্রেণীর ফলাফলের মার্কসীট পাচ্ছেন না শুধু মাত্র তাদের জন্য

বন্ধরা সবাই কেমন আছেন? ভালো তো? আমি দেখলাম অনেকেই ৮ম শ্রেণীর রেজাল্ট দেখতে পাচ্ছেন না। রেজাল্ট দেখার জন্য সারভার লিংক দেওয়া হয়েছে।লিঙ্কটি পেতে এখানে ক্লিক করুন

দিবানিদ্রার আশ্চর্য শক্তি

আজও স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস নিয়ে হাজির হলাম। দুপুরের খাবারের পর একটু ঘুমযাকে আমি বলছি ভাতঘুম। এর যে কি শক্তিকি বলবো! বেশ সতেজ হয় শরীর ও মন। একেতো পাওয়ার ন্যাপ বলাই যায়। রাতে ৬ ঘন্টার ঘুম তবুও সামান্য ভাতঘুম হলে বেশ ভালো হয়ে যায় শরীর ও মন। তাই ক্লান্তি দমাতে গেলে এবং কর্মস্থলে ও ঘরে দু'জায়গাতেই উচু ফর্মে থাকতে গেলে চাই ভাতঘুম। অনেকেই এই পাওয়ার ন্যাপকে দৈনিক রুটিনের অংশ করেছেন।

দিবানিদ্রা ও ঘুমের ঘাটতি: রাতে যতটুকু ঘুমাবার কথাধরুন ৭-৮ ঘন্টাএর চেয়ে কম ঘুম হলো তখনই এই ঘাটতি কাটাবার জন্য চাই দিবানিদ্রাবলেনমান ডিয়েগো ক্যালিফোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর সারা সি মেড্নিক। তিনি 'ঞধশব ধহধঢ়/পযধহমব ড়ঁৎ ষরভববইটি লিখে বেশ নাম করেছেন। বলেন মেড্নিক১৫-২০ মিনিটের এই দিবানিদ্রায় পাওয়া যায় অবিশ্বাস্য ফল। শরীরের সব ব্যবস্থা পুন:স্থাপন হলোসজাগ হওয়া গেলো,পারফোরমেন্সও ভালো হলো। তাই এই ঘুম ঘুম ভাব ছাড়াতে ও শক্তি ফিরে পেতে এই ক্ষণকালের নিদ্রাবড় উপকারী। দিবানিদ্রা কত সময় নেয়া হলোকি ধরনের ঘুম হলো-এর উপর নির্ভর করে শক্তি কি পরিমাণ বাড়বে। এই ২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ-কখনও একে বলে 'ধাপ-২ ন্যাপ'
কিন্তু এই দিবানিদ্রা ২০ মিনিটের বেশি নিলে কি হবেগবেষকরা বলেনএতে স্মৃতিশক্তি উজ্জীবিত হয়সৃজনশীলতা বাড়ে। আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা দিবানিদ্রা নিলেযাকে আমরা বলি'ধীর তরঙ্গ ন্যাপ'-এমন ঘুম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কৌশলযেমন অক্ষর ও বাক্য স্মরণ করার মত কাজ করতে উৎসাহিত করে।

দিবানিদ্রা না কফি কোনটি উত্তম:এক কাপ কফির চেয়ে একটু বিড়াল ঘুম কি ভালোমেনড্রেক বলেনযেহেতু কফি পান স্মৃতিশক্তি কিছু দুর্বল করে তাই চাঙ্গা হলেও ভুল করা স্বাভাবিক কাজে কর্মে। একজন খুব ব্যস্ত মার্কেটিং ব্যবস্থাপক বললেনআমার ভাতঘুম যদি না হয় তাহলে বেশ টলমল করে শরীরকাজে মনোযোগ কম আসে। অফিস খোলার দিনগুলোতে প্রতিরাতে একটু করে কম ঘুম হয় রাতেতাই এই দিবানিদ্রা খুব প্রয়োজন। আমার জন্য এই ভাতঘুম ফিরিয়ে আনে আমার শক্তি।

দিবানিদ্রার টিপস: হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ্ এবং গ্রীসে এবেনস্ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের গবেষণা থেকে জানা যায়নিয়মিত দিবানিদ্রা হলে মানসিক চাপ কমে ও হূদরোগের ঝুঁকি কমে। পাওয়ার ন্যাপ থেকে শক্তি আহরণ করতে গেলে কি করতে হবে সেসব টিপস্ দিলেন নিদ্রা বিজ্ঞানী ডক্টর সারা সি মেডনিক।

০ নিয়মিত হওয়া। নিয়মিত ন্যাপ সূচী। শ্রেষ্ঠ সময়-মধ্য দুপুর ১টা থেকে ৩টা।

০ সুস্থ সময় ৩০ মিনিট। এলার্মবস্নক সেটকরে দেওয়া যায় ২০-৩০ মিনিট


০ অন্ধকারে ভালো। অন্ধকার ঘরেনয়ত চোখে ধুলো পরে। ঘুম হবে দ্রুতভালো।

০ থাকুন উষ্ণ। একটা চাদর দিন গায়ে। তন্দ্রা গভীর হলে দেহতাপ তো কমবে।



Tuesday, January 7, 2014

ভুল ভেঙে দাও ভুল জেনে নাও : মুরগির না হাঁসের ডিম কোনটি ভালো?

ভুল ভেঙে দাও ভুল জেনে নাও : মুরগির না হাঁসের ডিম কোনটি ভালো?
ডিম আমাদের একটি প্রিয় খাবার। সন্দেহাতীতভাবে ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। হঠাত্ অতিথি আপ্যায়নে আমাদের দেশে ডিমের কদর অনেক আগে থেকেই। এ কথা হলফ করেই বলা যায় যে, ডিম খাওয়ার কথা উঠলে আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকজনই মুরগির ডিমকেই বেছে নেবেন। বিশেষ করে হাঁসের ডিমের পাশে মুরগির ডিমকেই বেশি পছন্দ। এর কারণ হলো, প্রচলিত ধারণা হচ্ছে মুরগির ডিমে বেশি পুষ্টি থাকে। এছাড়া হাঁসের ডিমের রয়েছে নানা বদনাম। যেমন অনেকেই মনে করেন, হাঁসের ডিমে হাঁপানি হয় কিংবা হাঁপানি বাড়ে। আবার অনেকের ধারণা হাঁসের ডিম অ্যালার্জির উদ্রেক করে। কাজেই ডিম যদি খেতেই হয় তো মুরগির ডিমই খাওয়া ভালো—এমন ধারণায় আমরা অনেকেই বন্দি। কিন্তু ডিম সম্পর্কে এই ধারণাগুলো কি ঠিক? স্বাদ, পছন্দ কিংবা দামের বিবেচনায় হাঁস এবং মুরগির ডিমকে পার্থক্য করা গেলেও পুষ্টিমানের বিবেচনায় উভয় ডিমের মূল্যই সমান বলা যায়। খাদ্য বিজ্ঞানীদের মতে, হাঁস এবং মুরগি উভয় ডিমেরই পুষ্টিমূল্য সমান। একই ওজনের একটি হাঁসের ডিম ও একটি মুরগির ডিমের পুষ্টিমান প্রায় একই রকম হবে। কাজেই অযথা মুরগির ডিমের দিকে ঝুঁকে পড়ার কোনো কারণ নেই। তবে বাজারের দিকে তাকালে দেখতে পাই উল্টো চিত্র। বেশি দাম দিয়ে লোকজন মুরগির ডিমই বেশি কিনছেন। অন্যদিকে মুরগির ডিমের চেয়ে ওজন সম্ভবত কিছুটা বেশি হওয়ার পরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে হাঁসের ডিম। কাজেই যারা কম দামের জন্য হাঁসের ডিম কিনছেন তারা কিন্তু জিতে যাচ্ছেন পুষ্টিমূল্যের বিবেচনায়। তবে পছন্দের কথা আলাদা, কেউ যদি মুরগির ডিম খেতে পছন্দ করেন এবং সে কারণেই বেশি দাম দিয়ে মুরগির ডিম কিনে নেন তাহলে কোনো কথা নেই। কিন্তু মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি মনে করে থাকলে একটি কথা আছে। আর তা হলো, আপনি ভুল করছেন। পুষ্টিমানের বিবেচনায় মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বললেই চলে। আর হাঁসের ডিমের সঙ্গে হাঁপানির কোনো সম্পর্ক নেই। আর অ্যালার্জি? ও তো সব ডিমেই হতে পারে। তাহলে দোষটা শুধু হাঁসের ডিমের উপর চাপানো কেন? শুধু ডিম কেন যে কোনো খাবারের প্রতিই যে কারও অ্যালার্জি থাকতে পারে, খাবারের অ্যালার্জির বিষয়টি কোনোক্রমেই এভাবে একতরফা হাঁসের ডিমের উপর চাপিয়ে দিয়ে বিচার করা যায় না।

*************************

জিমে না গিয়ে ওজন কমান


মেদবিহীন ছিপছিপে সুন্দর স্বাস্থ্য সবার প্রিয়। আর সবাই চায় নিজের সুগঠিতসুগড়ন ও কার্যক্ষম শরীর। এই প্রত্যাশা পূরণ সহজ কাজ নয়। রসনার সংযম এবং নিয়মিত শরীর চর্চায় ব্রত শক্ত মনের মানুষই স্বাভাবিক ওজন ও সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকেন। এজন্য অহেতুক জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এজন্য খুব বেশি প্রচেষ্টা বা জোগাড় যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। কতিপয় বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রথমত: মিষ্টি ও ভাজাভূনা খাবেন না। ভাত খাবেন নামমাত্র। দ্বিতীয়ত: প্রতিদিন জীবনযাপনে যাই ঘটুক নিজে নিজে একটু ব্যায়াম করে নেবেন। সেটা হাটাসাঁতার বা ফ্রি হ্যান্ড যাই আপনার পছন্দ। এ দুটি হলো জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর প্রাথমিক ও অন্যতম শর্ত।
মোটা হওয়ার কারণ:
·ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী খাবেন
· শরীরে খাবারের প্রয়োজন নেইঅথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে বলে অনেকে সারাদিন খান। এতে শরীরে মেদ জমে
· সারাদিন শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে
· বংশগত কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন কম থাকেজিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়
স্বাভাবিক উপায়ে ওজন কমানো:
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হলো-এমন ডায়েট মেন চলুন যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার আছেমাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং কম পরিমাণে ফ্যাট আছে। যারা অফিসে যান তারা ব্রেকফাস্টটা খেয়ে দুপুরের খাবার অফিসে যাওয়ার সময় লাঞ্চ হিসেবে নিয়ে যান।
ডায়েট টিপস:
· আলুকুমড়োকাঁচা কলা খাবেন না
· ছাঁকা তেলে ভাজা কিছু খাবেন নাতা সে বেগুন হোক বা পটল ভাজা হোক
· অ্যালকোহলএনার্জি ড্রিংকসহেলথ ড্রিংকসসফট ড্রিংকস খাবেন না
· চিনি একেবারেই খাবেন নাপ্রয়োজনে সুইটনার চলতে পারে
· গরুখাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না
· আপনার পছন্দ-অপছন্দের খাবারবর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন
· কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার পারফেক্ট ডায়েট
· আপনার ডায়েটে যাতে ফাইবারভিটামিনমিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন
· প্রতিদিনের ডায়েটে হোলমিল এবং বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য রাখুনকমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটযেমন-হোলহুইট ব্রেডরাইসওটস মিলহোল মিল পাস্তাবার্লিব্রাউন রাইস খান প্রয়োজন মতো
· ওবেসিটি কমিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও শাক সবজি খান
অসময়ে খিদে পেলে করণীয়:
pt" lang="BN">অসময়ে খিদে পেলে হেলদি স্ন্যাক্স খান। লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে ৩/৪ ঘন্টা পর পর হেলদি স্ন্যাক্স খেতে পারেন। খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফলও খেতে পারেন। লাউ বা অন্য সবজির রস বা সিদ্ধ শাক সবজি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাবেন।
বাড়িতে ব্যায়াম পদ্ধতি:
· বাড়িতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করুন। এতে সময় একেবারেই কম লাগে। অথচ আপনি ফিট থাকতে পারবেন এবং অতিরিক্ত মেদ শরীরে জমা হবে না
· বাড়িতে যতো সময় অবস্থান করবেন সেই সময়ে শুয়ে বা বসে না থেকে হাঁটা চলাও যে ব্যায়াম তা অনেকে ভাবেন না। আপনার বাড়িতে যদি সিড়ি থাকে তাহলে কারণে অকারণে দৈনিক কয়েকবার ওঠানামা করতে পারেন। আরো ভালো হয় যদি হালকা জিনিসপত্র বহন করা যায়। এত আপনার মাসল টোনড হবে
· বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং ব্যায়ামযেমন- আর্ম স্ট্রেচিং বা লেগ লিফটিং করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং বিভিন্ন অংশের ফ্যাট ঝরে যায়
· হার্ট সুস্থ রাখার জন্য জগিং খুব ভালো ব্যায়াম। বাড়ির যে কোনো জায়গায় আপনি স্পট জগিং করতে পারেন। তবে এ সময় উপযুক্ত জুতো পরবেনযাতে পায়ের ওপর স্ট্রেস না পড়ে
· দুহাত সোজা করে উপরের দিকে রাখুন। পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে যতোটা পারেন লাফান। কোনো বিরতিছাড়া এভাবে এক মিনিট লাফাবেন। এক মিনিট ব্রেক দিয়ে দিয়ে দুই থেকে তিনবার সাইকলটা রিপিট করুন।
· পুশ-আপ্স করতে পারেন। এই ব্যায়াম আবার চেস্ট ও আর্ম মাসলের শক্তি বাড়ায়। মাটির ওপর উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর দুই হাতের সাহায্যে মাটি থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন আপনার হাটুতে ভাজ না পড়ে। শুরুতে ৫ থেকে ১০ টা পুশ আপ্স দেয়ার চেষ্টা করুন। সকালে এক সেট এবং বিকালে এক সেট পুস-আপ্স করতে পারেন।
· পেটের মাসলের স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য সিট-আপস জাতীয় ব্যায়াম করতে পারেন। মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাটু ভাজ করুন। ডান হাত বা কাঁধের ওপর এবং বা হাত ডান কাঁধের ওপর রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শরীরের ওপরের অংশ মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করুন। মাঝামাঝি অবস্থানে যেতে কয়েক সেকেন্ড থাকুন। পরে ক্রমশ শোয়া অবস্থায় ফিরে যান। শুরুতে ৩ থেকে ৫টা সিট আপ্স যথেষ্ট হবে।
বিশেষ সতর্কতা:
· কোমল পানীয় একেবারেই খাবেন না। কোল্ড ড্রিংস মোটা হওয়ার আশঙ্কা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়
· কখনো স্টার্ভেশন ডায়েট করবেন না। এই পদ্ধতিতে দ্রুত রোগা হওয়া গেলেও শরীর প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে নানা সমস্যা দেখা দেয়
· রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন
· বার বার অল্প করে খাবেন। লাঞ্চ বা ডিনারের সময় অবশ্যই কম খাবেন।   ++মাংস এবং
কোলন ক্যান্সার
যারা সপ্তাহে পাঁচ বেলা গরুখাসি    কিংবা ভেড়ার মাংস খানএক গবেষণণায় দেখা গেছেতাদের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। এসব পশুর মাংসকে বলা হয় রেডমিট। রেডমিটকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় অন্যতম ক্যান্সারপ্রবণ খাবার বা কারসিনোজেন। তাই বলে মাংস খাওয়া বাদ দিলেই তো চলবেনা। মাংস খাওয়া যাবেতবে পরিমিত। সপ্তাহে এক/দুই বেলাই যথেষ্ট। আর যদি বেশি করে শাক সবজি খান তাহলে মাংসের এই ঝুঁকি অনেকেটাই প্রশমিত হয়।
**************************

Monday, January 6, 2014

চুল পাকা রোধের ১০ টি উপায়


বয়সের সাথে সাথে মানুষের চুল পেকে যায় এটাই স্বাভাবিক। ধরুন আপনার চুল যদি ২০ বছরের মধ্যেই পেকে যায় তখন সেটা বিব্রতকর। আপনার পাশের মানুষগুলাই আপনার দিকে বাকা চোখে তাকাবে। মেলানিন নামক এক উপাদান চুলের রঙ নির্ধারণ করে , এর উৎপন্নের পরিমাণ কমে গেলেই চুল সাদা হওয়া শুরু করে মানে চুল তার পিগমেনটেসন হারায়। আর একবার পাকা শুরু করলে এর পরিমাণ যেন দিন দিন বাড়তেই থাকে। কিন্তু হয়ে গেলে কিছু করার থাকেনা তাই আগে থেকেই এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আসুন জেনে নেই চুল পাকা রোধের ১০ টি উপায়।

১)দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুনঃ দুশ্চিন্তা অল্প বয়সে চুল পাকার প্রধান কারন। জীবনকে সব সময় হাসি খুশিতে ভরিয়ে রাখুন। টেনশন মুক্ত থাকুন।
২) ধূমপান কে চিরদিনের জন্য না বলুনঃ ধূমপান সাস্থের জন্য ক্ষতিকর এটা প্যাকেটেই লিখা থাকে। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত ধূমপানের ফলে অল্প বয়সে চুল পরে যায়।
৩) শরীরের আদ্রতা বজায় রাখুনঃ বেশি বেশি পানি পান করুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহলের পরিমাণ কমিয়ে।মশলাদার আর ভাজাভুজি জাতীয় খাবার-ও এড়িয়ে চলুন, যেহেতু এই খাবার গুলো শরীরকে dehydrate করে শুষ্ক করে তোলে। আদ্রতার অভাবে পুষ্টিকর উপাদান চুলের ফলিকলে পৌঁছাতে পারেনা, ফলস্রুতিতে পাকা চুলের আনাগোনা দেখা যায়।
৪) কপার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুনঃ মাঝে মাঝে কপারের অভাবে চুল পেকে যেতে পারে কারন এটা মেলানিন তৈরি করে। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমান মাংস, গরুর কলিজা, মাশ্রুম, বাদাম, ডালিম ইত্যাদি রাখুন।
৫) আয়োডিন যুক্ত খাবার খানঃ আয়োডিন এক প্রকারের মিনারেল যেতা চুলের কালার ঠিক রাখে। কলা, গাজর এবং পালং শাক এর মত আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখুন।
৬) প্রোটিনঃ মেলানিন উৎপন্নের জন্য প্রোটিনের অবদান অনস্বীকার্য। তাই শুধু কার্বোহাইড্রেট নয় প্রোটিনের সাথেও সখ্যতা গড়ে তুলুন। যদি আপনি রুটি খান তবে তার সাথে একটি ডিম খেয়ে কার্বোহাইড্রেড আর প্রোটিনের মধে সমন্বয় ঘটিয়ে নিন।
৭) পর্যাপ্ত ঘুমঃ সঠিক পরিমানে ঘুম শরীরে অশুধের মতো কাজ করে। এতে মন চাঙ্গা থাকে এবং দুশ্চিন্তা গায়েব হয়ে যায়।
৮) বি গ্রুপের ভিটামিনের উপর গুরুত্ব দিনঃ ভিটামিন বি২, বি৬ এবং বি১২ এর অভাব চুলের অকাল-পক্বতার আরেকটি কারণ। বায়োটিন আর ফলিক এসিডের অভাবে চুলে পাকন ধরে। ভিটামিন বি৬, বি১২ লাল রক্ত কনিকা তৈরির জন্য দরকার। আর এই রক্ত কণিকার মাধ্যমেই স্কাল্পে পুষ্টি আর অক্সিজেন পৌঁছায়। কলা, ডিম, মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, শাকসবজি, পাস্তা বি গ্রুপের ভিটামিনে ভরপুর।
৯ ইম্প্রুভ circulation:  Circulation এবং blood circulation পাকা চুল রোধের জন্য খুবই জরুরী। যদি ভিটামিন এবং মিনারেল মাথার তালুতে না পৌঁছায় তবে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ভিটামিন খাওয়ার কোন উপকারিতা পাওয়া যাবে না। ঠিক মত circulation এর জন্য প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করার চেয়ে ভালো কোন উপায় নেই। সেই সঙ্গে বাড়তি মেদ-ও ঝরে যাবে। আঙ্গুল দিয়ে প্রতিদিন মাথার তালুতেও ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে blood circulation এর জন্য। এতে করে চুলের গোড়া শক্তও হবে।
১০ সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নির্বাচন করুনঃ সেলেনিয়াম এক ধরণের মিনারেল যা মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী, বিশেষ করে চুলের বৃদ্ধি ও চুলের অকাল-পক্কতা ঠেকানোর জন্য। ফ্রি রেডিক্যাল যা aging process তরান্বিত করে সেলেনিয়াম এই ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে। স্যামন ফিশ, টুনা ফিশ, আখরোট, কিশমিশ সেলেনিয়ামের খুব ভালো উৎস।
মাঝে মাঝে জেনেটিক্যাল কারনে চুল পাকে আর সেক্ষেত্রে তেমন কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই চেষ্টা করুন চুলের অকাল পক্কতা রোধে। চুল যদি পেকে যায় তাহলে মেহেদী পাতা ছাড়া উপায় নেই।

Sunday, January 5, 2014

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে সিসিটিভি বসান খুব সহজেই।মজার জিনিস


আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আর সব সময় ভাল থাকুন এটাই কামনা করছি। এই যুগে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের ব্যক্তিগত বা বানিজ্যিক ওয়েবসাইট নাই তার সংখ্যা খুব কমই আছে। আর সবাই চাই ওয়েবসাইটটি সুন্দর করে রাখতে। আর যারা ওয়েবসাইটিতে সুন্দর করে রাখতে চান তাদের জন্য মজার একটি জিনিস নিয়ে এলাম। এটি হল সিসিটিভি- যা আপনার সাইটের ওপরে সার্বক্ষনিক নড়াচড়া করতে থাকবে। নিচে কোড দেওয়া আছে । আর এই কোড গুলো কপি করে আপনার সাইটে বসিয়ে দিন আর দেখুন মজা।
<script language="JavaScript" src="http://bocahgabus.googlecode.com/files/kamera%20cctv.txt" type="text/javascript"> </script> <script language="JavaScript" type="text/javascript"> cot("https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjaKua_DTXK0wdAbs9YlXX3K9mFwUTf2trg8Vg5DEu-MjdTwbDQx9WSHv-lptLhJuZk5zHAQCFjFFaN1kcjfq4cDe_MyDxmZobrYf3YVWfdqFephtaG4jqhheeBpyfMBcjOJbehl_E6c7Q/s1600/cctv.gif")</script>

Image

Free Updates to Email
Follow Me:
facebook twitter gplus pinterest rss
https://www.facebook.com/rubel29bd