বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

Monday, January 6, 2014

চুল পাকা রোধের ১০ টি উপায়


বয়সের সাথে সাথে মানুষের চুল পেকে যায় এটাই স্বাভাবিক। ধরুন আপনার চুল যদি ২০ বছরের মধ্যেই পেকে যায় তখন সেটা বিব্রতকর। আপনার পাশের মানুষগুলাই আপনার দিকে বাকা চোখে তাকাবে। মেলানিন নামক এক উপাদান চুলের রঙ নির্ধারণ করে , এর উৎপন্নের পরিমাণ কমে গেলেই চুল সাদা হওয়া শুরু করে মানে চুল তার পিগমেনটেসন হারায়। আর একবার পাকা শুরু করলে এর পরিমাণ যেন দিন দিন বাড়তেই থাকে। কিন্তু হয়ে গেলে কিছু করার থাকেনা তাই আগে থেকেই এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আসুন জেনে নেই চুল পাকা রোধের ১০ টি উপায়।

১)দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুনঃ দুশ্চিন্তা অল্প বয়সে চুল পাকার প্রধান কারন। জীবনকে সব সময় হাসি খুশিতে ভরিয়ে রাখুন। টেনশন মুক্ত থাকুন।
২) ধূমপান কে চিরদিনের জন্য না বলুনঃ ধূমপান সাস্থের জন্য ক্ষতিকর এটা প্যাকেটেই লিখা থাকে। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত ধূমপানের ফলে অল্প বয়সে চুল পরে যায়।
৩) শরীরের আদ্রতা বজায় রাখুনঃ বেশি বেশি পানি পান করুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহলের পরিমাণ কমিয়ে।মশলাদার আর ভাজাভুজি জাতীয় খাবার-ও এড়িয়ে চলুন, যেহেতু এই খাবার গুলো শরীরকে dehydrate করে শুষ্ক করে তোলে। আদ্রতার অভাবে পুষ্টিকর উপাদান চুলের ফলিকলে পৌঁছাতে পারেনা, ফলস্রুতিতে পাকা চুলের আনাগোনা দেখা যায়।
৪) কপার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুনঃ মাঝে মাঝে কপারের অভাবে চুল পেকে যেতে পারে কারন এটা মেলানিন তৈরি করে। খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমান মাংস, গরুর কলিজা, মাশ্রুম, বাদাম, ডালিম ইত্যাদি রাখুন।
৫) আয়োডিন যুক্ত খাবার খানঃ আয়োডিন এক প্রকারের মিনারেল যেতা চুলের কালার ঠিক রাখে। কলা, গাজর এবং পালং শাক এর মত আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখুন।
৬) প্রোটিনঃ মেলানিন উৎপন্নের জন্য প্রোটিনের অবদান অনস্বীকার্য। তাই শুধু কার্বোহাইড্রেট নয় প্রোটিনের সাথেও সখ্যতা গড়ে তুলুন। যদি আপনি রুটি খান তবে তার সাথে একটি ডিম খেয়ে কার্বোহাইড্রেড আর প্রোটিনের মধে সমন্বয় ঘটিয়ে নিন।
৭) পর্যাপ্ত ঘুমঃ সঠিক পরিমানে ঘুম শরীরে অশুধের মতো কাজ করে। এতে মন চাঙ্গা থাকে এবং দুশ্চিন্তা গায়েব হয়ে যায়।
৮) বি গ্রুপের ভিটামিনের উপর গুরুত্ব দিনঃ ভিটামিন বি২, বি৬ এবং বি১২ এর অভাব চুলের অকাল-পক্বতার আরেকটি কারণ। বায়োটিন আর ফলিক এসিডের অভাবে চুলে পাকন ধরে। ভিটামিন বি৬, বি১২ লাল রক্ত কনিকা তৈরির জন্য দরকার। আর এই রক্ত কণিকার মাধ্যমেই স্কাল্পে পুষ্টি আর অক্সিজেন পৌঁছায়। কলা, ডিম, মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, শাকসবজি, পাস্তা বি গ্রুপের ভিটামিনে ভরপুর।
৯ ইম্প্রুভ circulation:  Circulation এবং blood circulation পাকা চুল রোধের জন্য খুবই জরুরী। যদি ভিটামিন এবং মিনারেল মাথার তালুতে না পৌঁছায় তবে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ভিটামিন খাওয়ার কোন উপকারিতা পাওয়া যাবে না। ঠিক মত circulation এর জন্য প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করার চেয়ে ভালো কোন উপায় নেই। সেই সঙ্গে বাড়তি মেদ-ও ঝরে যাবে। আঙ্গুল দিয়ে প্রতিদিন মাথার তালুতেও ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে blood circulation এর জন্য। এতে করে চুলের গোড়া শক্তও হবে।
১০ সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নির্বাচন করুনঃ সেলেনিয়াম এক ধরণের মিনারেল যা মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারী, বিশেষ করে চুলের বৃদ্ধি ও চুলের অকাল-পক্কতা ঠেকানোর জন্য। ফ্রি রেডিক্যাল যা aging process তরান্বিত করে সেলেনিয়াম এই ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে। স্যামন ফিশ, টুনা ফিশ, আখরোট, কিশমিশ সেলেনিয়ামের খুব ভালো উৎস।
মাঝে মাঝে জেনেটিক্যাল কারনে চুল পাকে আর সেক্ষেত্রে তেমন কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই চেষ্টা করুন চুলের অকাল পক্কতা রোধে। চুল যদি পেকে যায় তাহলে মেহেদী পাতা ছাড়া উপায় নেই।

0 মন্তব্য(গুলি):

Post a Comment

Image

Free Updates to Email
Follow Me:
facebook twitter gplus pinterest rss
https://www.facebook.com/rubel29bd