তেলাপোকা একটি বিরক্তিকর প্রাণী তা মোটামুটি সবাই স্বীকার করবেন। আর এই বিরক্তি থেকে মুক্তি দিতে অনেক প্রতিষ্ঠান তেলাপোকা নিধনের বিভিন্ন ঔষধ বাজারে এনেছে। চটকদার বিজ্ঞাপন আর বাজারজাতকরণের মাধ্যমে ভোক্তাদের ঘরের সামনে পৌছে যাচ্ছে তেলাপোকা নিধনকারী ঔষধ। কিন্তু একদল গবেষক বলছেন, তেলাপোকাকে হত্যা না করার জন্য। কিন্তু কেন?
প্রকৃতির বিরুপতার মাঝেও তেলাপোকা টিকে থাকতে পারে। তেলাপোকার এই স্বাভাবিক টিকে থাকার ক্ষমতাকেই কাজে লাগাতে চান গবেষকরা। ধ্বংসস্তুপ বা দুর্যোগ প্রবন এলাকায় আটকে পরা মানুষকে উদ্ধারে গবেষকদের ভাষায় তেলাপোকা হতে পারে কার্যকরী ত্রাতা। সম্প্রতি একদল গবেষক তোলাপোকার শরীরে ছোটো একটি ইলেকট্রিকাল ব্যাকপ্যাক বসিয়ে দিয়েছেন। আর এই ইলেকট্রিক ব্যাগপ্যাকের মধ্যে আছে মাইক্রোস্কোপ ক্যামেরা এবং শব্দ রেকর্ড করার ক্ষুদ্র ডিভাইস। যার মাধ্যমে তেলাপোকাকে পাঠানো যাবে এমন সব জায়গায় যেখানে চাইলেও মানুষ প্রবেশ করতে পারে না।
নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলপার বুজকার্ট এবিষয়ে বলেন, ‘একটি ধসে পরা দালান থেকে মানুষকে উদ্ধার করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শব্দ। আমাদের লক্ষ্য হলো ওইসব স্থানে তেলাপোকাকে কাজে লাগানো। তাদের পিঠে বসানো মাইক্রোফোন থেকে খুব সহজেই মানুষের উৎপাদিত শব্দ এবং অন্যান্য বস্তুর শব্দ পৃথক করা যাবে। মনুষ্যসৃষ্ট শব্দ চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে খুব সহজেই বাঁচানো যাবে আটকে পরা মানুষটিকে।’
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment