শ্বাসকষ্ট হাঁপানি রোগীর একটা বড় লক্ষণ। কিন্তু শুধু শ্বাসকষ্ট নিয়ে এলেই তাকে হাঁপানি বলে শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে হবে তা কিন্তু ঠিক নয়। কিছু কিছু শ্বাসের রোগ হাঁপানির মতো মনে হলেও কিন্তু তা মোটেই হাঁপানি নয়।
পুরনো ব্রঙ্কাইটিস : সাধারণত বয়স্ক রোগীরাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ধূমপায়ীদের মধ্যেই পুরনো ব্রঙ্কাইটিস দেখা যায় বেশি। দিনের পর দিন তামাকের ধোঁয়া শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে। এতে শ্বাসনালীর স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কারণ এ ধোঁয়া শ্বাসনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি করে। অসম্ভব কাশি ও প্রচুর পরিমাণ কফ এই রোগের প্রধান লক্ষণ। সাধারণত ভোরবেলা এই রোগের উপসর্গগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এমপিসেমা হলো ফুসফুসের বায়ুথলি রোগ। এ রোগে বায়ুথলির স্বাভাবিক প্রসারণ ও সংকোচন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বায়ুথলির ভেতরের কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে। খুব সামান্য পরিশ্রম করলেই রোগী দারুণ হাঁপাতে শুরু করে। দেখা গেছে, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ চিকিৎসা করলেও স্বাভাবিক হতে চায় না বা স্বাভাবিক হয় না।
হৃৎপিণ্ডঘটিত হাঁপানি : হৃৎপিণ্ড ঘটিত হাঁপানি ঠিক শ্বাসযন্ত্রের হাঁপানির অনুরূপ। বয়স্ক লোকদের হৃৎপিণ্ডের ক্ষমতার অভাব দেখা দিলে এ ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সাধারণত হাঁপানির শ্বাসকষ্ট শ্বাস ছাড়ার সময়ই হয়ে থাকে বেশি কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাস উভয় সময়ই শ্বাসকষ্ট হয়। প্রায়ই এটা দেখা দেয় গভীর রাতে নিদ্রাকালে। শ্বাসকষ্ট এত তীব্র হয় যে, রোগীর মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। এজন্য নিদ্রিত রোগী জেগে উঠে বসে পড়ে। শ্বাসকষ্ট কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং রোগী অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
হিস্টিরিয়া : সাধারণত যুবতী মেয়েরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। মাঝে মাঝে তাদের অসম্ভব শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আর মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু তাদের পরীক্ষা করলে দেখা যায়, শুধু শ্বাসটা একটু দীর্ঘ হয় আর নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাসে কোনো কষ্টই নেই। চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টায় এ ধরনের রোগীর অবচেতন মন বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নকল করে। মনোবিদদের সাহায্যের দরকার হতে পারে হিস্টিরিয়া নিরীক্ষার জন্য।
লেখক : অধ্যাপক, অ্যাজমা ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
চেম্বার : ল্যাবএইড, গুলশান, বাড়ি নং-১৩/এ, সড়ক নং-৩৫, গুলশান ২, ঢাকা। ফোন : ০১৯১১-৩৫৫৭৫৬ -
পুরনো ব্রঙ্কাইটিস : সাধারণত বয়স্ক রোগীরাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ধূমপায়ীদের মধ্যেই পুরনো ব্রঙ্কাইটিস দেখা যায় বেশি। দিনের পর দিন তামাকের ধোঁয়া শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে। এতে শ্বাসনালীর স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কারণ এ ধোঁয়া শ্বাসনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি করে। অসম্ভব কাশি ও প্রচুর পরিমাণ কফ এই রোগের প্রধান লক্ষণ। সাধারণত ভোরবেলা এই রোগের উপসর্গগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এমপিসেমা হলো ফুসফুসের বায়ুথলি রোগ। এ রোগে বায়ুথলির স্বাভাবিক প্রসারণ ও সংকোচন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বায়ুথলির ভেতরের কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে। খুব সামান্য পরিশ্রম করলেই রোগী দারুণ হাঁপাতে শুরু করে। দেখা গেছে, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ চিকিৎসা করলেও স্বাভাবিক হতে চায় না বা স্বাভাবিক হয় না।
হৃৎপিণ্ডঘটিত হাঁপানি : হৃৎপিণ্ড ঘটিত হাঁপানি ঠিক শ্বাসযন্ত্রের হাঁপানির অনুরূপ। বয়স্ক লোকদের হৃৎপিণ্ডের ক্ষমতার অভাব দেখা দিলে এ ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সাধারণত হাঁপানির শ্বাসকষ্ট শ্বাস ছাড়ার সময়ই হয়ে থাকে বেশি কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাস উভয় সময়ই শ্বাসকষ্ট হয়। প্রায়ই এটা দেখা দেয় গভীর রাতে নিদ্রাকালে। শ্বাসকষ্ট এত তীব্র হয় যে, রোগীর মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। এজন্য নিদ্রিত রোগী জেগে উঠে বসে পড়ে। শ্বাসকষ্ট কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং রোগী অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
হিস্টিরিয়া : সাধারণত যুবতী মেয়েরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। মাঝে মাঝে তাদের অসম্ভব শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আর মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু তাদের পরীক্ষা করলে দেখা যায়, শুধু শ্বাসটা একটু দীর্ঘ হয় আর নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাসে কোনো কষ্টই নেই। চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টায় এ ধরনের রোগীর অবচেতন মন বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নকল করে। মনোবিদদের সাহায্যের দরকার হতে পারে হিস্টিরিয়া নিরীক্ষার জন্য।
লেখক : অধ্যাপক, অ্যাজমা ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
চেম্বার : ল্যাবএইড, গুলশান, বাড়ি নং-১৩/এ, সড়ক নং-৩৫, গুলশান ২, ঢাকা। ফোন : ০১৯১১-৩৫৫৭৫৬ -
![]() |
See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/47207#sthash.yRV0K7zu.dpuf
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment