বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বিনামূল্যে আসল মাষ্টার কার্ড নিয়ে নিন!!

সুবিধাগুলো ০১. ১০০% আসল মাষ্টার কার্ড আপনার কাছে পাঠানো হবে। ০২. প্রায় সকল ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করতে পারবেন (যেমন hostgator, namecheap, godaddy, amazon etc)

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Wednesday, August 19, 2015

খুশকি সমস্যা ও প্রতিকার

মাথা থেকে আঁশের মতো মরা চামড়া ওঠাকে খুশকি বলে। সাধারণত এই রোগটি বয়ঃসন্ধিকালে বা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হয়। এ ক্ষেত্রে মাথার চামড়া থেকে ছোট ছোট আঁশের মতো মরা চামড়া উঠতে থাকে। ফলে মাথার চামড়া চুলকায় এবং চিরুনি দিয়ে চুলকালে ভালো লাগে এবং চিরুনির সাথে খুশকিগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। তবে মাথায় যদি যৎসামান্য খুশকি হয় তা কিন্তু একটি সাধারণ ব্যাপার। এই খুশকি যদি খুব বেশি হয় তবে তাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের বহিঃপ্রকাশ বলে ধরে নিতে হবে। কিন্তু খুশকির সাথে সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের পার্থক্য হলো এই যে, খুশকিতে মাথা থেকে আঁশযুক্ত মরা চামড়া উঠবে, তবে মাথায় কোনো প্রদাহ থাকবে না। আর যদি মাথায় খুশকি অর্থাৎ মরা আঁইশের মতো চামড়া ওঠে সেই সাথে মাথার প্রদাহও থাকে তবে তখন আমরা তাকে খুশকি নয় বরং সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলে চিহ্নিত করব। তবে মনে রাখতে হবে খুশকিকে সব সময় নির্মূল করা সম্ভব হয় না। কতকগুলো খুশকিকে নিবারক শ্যাম্পু দিয়ে দমিয়ে রাখা যায়। আর তাই দমিয়ে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, একে দমিয়ে না রাখলে এর থেকে মাথার চুল ঝরে যেতে থাকবে। অনেকে আবার মনে করেন খুশকি হলে মাথায় বেশি করে তেল দিতে হবে। ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এই তেল দেয়ার কারণে মাথা সব সময় তৈলাক্ত ও ভেজা থাকে। ফলে মাথায় একশ্রেণীর ছত্রাকের আক্রমণ হতে থাকে এবং এ রোগ ক্রমান্বয়ে আরো বাড়তে থাকে। আবার একশ্রেণীর রোগী এই খুশকি দমাতে মাথায় খৈল ব্যবহার করে। খৈল আর কিছুই নয়, সরিষা থেকে তেল বানাতে বর্জ্য হিসেবে এই খৈল পাওয়া যায়। এটাও একটা ভুল ধারণা। খৈল ব্যবহারে খুশকি দূর হয় বলে কোনো কথা নেই। খৈল ব্যবহারের ফলে খুশকিগুলো ভিজে মাথার ত্বকে লেগে থাকে। ফলে অনেকেরই হয়তো মনে হতে পারে যে, খুশকি দূর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ধারণাটা সম্পূর্ণই ভুল। 
যাদের মাথায় খুশকি হয় তারা মাথা ভেজা রাখবেন না, বরং মাথা যেন সব সময় পরিষ্কার থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভেজা মাথায় চুল বাঁধাও উচিত নয়। তাতে চুলের নিচে পানি আটকা পড়ে ত্বক ভেজা থাকে, যা কিনা এই রোগ বাড়াতে সাহায্য করে। আর একটা কথাÑ যাদের খুশকি আছে, তাদের ব্যবহার করা চিরুনি অন্য কারো ব্যবহার করা উচিত নয়। এর মাধ্যমে খুশকিজনিত ছত্রাক একজনের মাথা থেকে অন্যের মাথায় চলে যেতে পারে। অনেক সময় সেবোরিক ডার্মাটাইটিসকে আমরা সাধারণ খুশকি বলে মনে করি। তাই মনে রাখতে হবে দেহের তেল গ্রন্থিযুক্ত স্থানে যেমন মাথার ত্বক, বুকের মধ্যখান, কানের পেছনের দিক, বগল ইত্যাদি লোমযুক্ত স্থানে যদি খোসাযুক্ত লালচে দাগ দেখা যায় সেক্ষেত্রে আমরা সিবোরিক ডার্মাটাইটিস বলে ধরে নেবো। ভুরু, নাক, নাকের পাশের খাঁজ, ঠোঁট, কান, কানের পেছন, কানের ভেতরের অংশ এসব স্থানেও এই রোগের প্রকাশ পেতে পারে। চোখের পাতাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যাকে বলা হয় ব্লেফাবাইটিস। এতে চোখের পাতা লালচে হয় এবং ছোট ছোট সাদা আঁশের মতো মরা চামড়া উঠতে দেখা যায়। দাড়ি, গোঁফ ইত্যাদি অংশও এতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। 
আবার অনেক সময় সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের ওপর বাইরের জীবাণুর আক্রমণ ঘটে, সে ক্ষেত্রে দেখতে কিছুটা একমিজমার মতো মনে হয়। আর একটি রোগে প্রায়ই আঁইশ উঠতে দেখা যায়, যেটি হলো সোরিয়াসিস। মাথার সোরিয়াসিসে যখন আঁশ ওঠে তখন অনেকেই মনে করেন যে, মাথায় খুব বেশি পরিমাণে খুশকি হয়েছে। তবে এই দুটো আঁশের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে, সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের আঁশগুলো তৈলাক্ত; কিন্তু সোরিয়াসিসের আঁশগুলো শুকনো ও সিলভারি রঙের বাইরে বিশেষভাবে আরো একটু লক্ষ করলে দুটোর প্রভেদ বোঝা যায়; যেমন, মাথার সোরিয়াসিসে চুলের সামনের সীমানা বরাবর একটা স্পষ্ট দাগ লক্ষ করা যায় কিন্তু খুশকি বা সেবোরিক ডার্মাটাইটিসে তেমন কোনো দাগ দেখা যায় না।
চিকিৎসা : খুশকি সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসা প্রায় একই রকম। খুশকি নিবারক শ্যাম্পু যেমন জিঙ্ক পাইরিথিওন, সেলেনিয়াম সালফাইড অথবা কেটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহারে খুশকি দমন করা সম্ভব। যদি বেশি পরিমাণ প্রদাহের লক্ষণ উপস্থিত থাকে তবে এর পাশাপাশি কম শক্তিশালী কর্টিসোন লোশন বা জেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেখক : চর্ম, এলার্জি ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আল-রাজি হাসপাতাল, ১২ ফার্মগেট, ঢাকা।
ফোন : ০১৮১৯২১৮৩৭৮ - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/47210#sthash.xfEXUrrY.dpuf

শ্বাসকষ্ট হলেই হাঁপানি নয়

শ্বাসকষ্ট হাঁপানি রোগীর একটা বড় লক্ষণ। কিন্তু শুধু শ্বাসকষ্ট নিয়ে এলেই তাকে হাঁপানি বলে শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে হবে তা কিন্তু ঠিক নয়। কিছু কিছু শ্বাসের রোগ হাঁপানির মতো মনে হলেও কিন্তু তা মোটেই হাঁপানি নয়।
পুরনো ব্রঙ্কাইটিস : সাধারণত বয়স্ক রোগীরাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ধূমপায়ীদের মধ্যেই পুরনো ব্রঙ্কাইটিস দেখা যায় বেশি। দিনের পর দিন তামাকের ধোঁয়া শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ে। এতে শ্বাসনালীর স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। কারণ এ ধোঁয়া শ্বাসনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি করে। অসম্ভব কাশি ও প্রচুর পরিমাণ কফ এই রোগের প্রধান লক্ষণ। সাধারণত ভোরবেলা এই রোগের উপসর্গগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এমপিসেমা হলো ফুসফুসের বায়ুথলি রোগ। এ রোগে বায়ুথলির স্বাভাবিক প্রসারণ ও সংকোচন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বায়ুথলির ভেতরের কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়ে। খুব সামান্য পরিশ্রম করলেই রোগী দারুণ হাঁপাতে শুরু করে। দেখা গেছে, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ চিকিৎসা করলেও স্বাভাবিক হতে চায় না বা স্বাভাবিক হয় না।
হৃৎপিণ্ডঘটিত হাঁপানি : হৃৎপিণ্ড ঘটিত হাঁপানি ঠিক শ্বাসযন্ত্রের হাঁপানির অনুরূপ। বয়স্ক লোকদের হৃৎপিণ্ডের ক্ষমতার অভাব দেখা দিলে এ ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সাধারণত হাঁপানির শ্বাসকষ্ট শ্বাস ছাড়ার সময়ই হয়ে থাকে বেশি কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাস উভয় সময়ই শ্বাসকষ্ট হয়। প্রায়ই এটা দেখা দেয় গভীর রাতে নিদ্রাকালে। শ্বাসকষ্ট এত তীব্র হয় যে, রোগীর মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। এজন্য নিদ্রিত রোগী জেগে উঠে বসে পড়ে। শ্বাসকষ্ট কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং রোগী অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
হিস্টিরিয়া : সাধারণত যুবতী মেয়েরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। মাঝে মাঝে তাদের অসম্ভব শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আর মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু তাদের পরীক্ষা করলে দেখা যায়, শুধু শ্বাসটা একটু দীর্ঘ হয় আর নিঃশ্বাস এবং প্রশ্বাসে কোনো কষ্টই নেই। চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে অসামঞ্জস্য দেখা দিলে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টায় এ ধরনের রোগীর অবচেতন মন বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নকল করে। মনোবিদদের সাহায্যের দরকার হতে পারে হিস্টিরিয়া নিরীক্ষার জন্য।
লেখক : অধ্যাপক, অ্যাজমা ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
চেম্বার : ল্যাবএইড, গুলশান, বাড়ি নং-১৩/এ, সড়ক নং-৩৫, গুলশান ২, ঢাকা। ফোন : ০১৯১১-৩৫৫৭৫৬ -

 See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/47207#sthash.yRV0K7zu.dpuf

চুল পাকা রোগ

অনাদিকাল থেকে মানুষ চুলের পরিচর্যা করে আসছে। সুন্দর চুলের জন্য মানুষের প্রচেষ্টার বিরাম নেই। কিন্তু অনেক সময় তাকে হতাশ করে দিয়ে সুন্দর চুলগুলো পাকতে শুরু করে। প্রকৃতির নিয়মে একটি নির্দিষ্ট বয়সে মানুষের চুল পাকে, কিন্তু কখনো কখনো অল্প বয়সেও কারো কারো চুল পাকতে দেখা যায়। তখন দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ২৫ জনের চুলে পাক ধরে। পরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পাকার সংখ্যা আরো বেড়ে পঞ্চাশে দাঁড়ায়। এই অনাকাক্সিক্ষত সমস্যাটি দেখা দেয়ার কারণ কী?
আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের কোষ থাকে, যা মেলানিন উৎপাদন করে। যাদের কম মেলানিন উৎপাদন হয় তাদের রঙ সাদা হয় এবং বেশি উৎপাদন হলে রঙ কালো হয়। চুলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদি কোনো কারণে চুলের গোড়ার মেলানোসাইট কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তাহলে বন্ধ হয়ে যায় মেলানিনের উৎপাদন। ফলে চুলের রঙ সাদা হয়ে যায় এবং আমরা সেটাকে চুল পাকা বলি। যেকোনো বয়সেই এটা ঘটতে পারে। মেলানোসাইট কোষ কেন নিষ্ক্রিয় হচ্ছে এ ব্যাপারে অনেক গবেষণা হয়েছে। দেখা গেছে বংশগত কারণে অনেকের মধ্যে এ সমস্যাটি ঘটছে। অল্প বয়সে যাদের চুল পাকে তাদের কারো কারো মধ্যে অটোইমিউন ডিজিজের কারণে মেলানোসাইট কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। ফলে চুলে মেলানিন না পৌঁছার কারণে চুল পেকে যাচ্ছে। এই অটোইমিউন ডিজিজে ত্বকের মেলানোসাইটের বিরুদ্ধে তৈরি হয় এন্টি মেলানোসাইট এন্টিবডি যা মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করে দেয়। এ ছাড়া গবেষকরা খুব বেশি জ্বর, দীর্ঘমেয়াদি কোনো অসুখ এবং মানসিক দুশ্চিন্তাকে অল্পবয়সে চুল পাকার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
অল্প বয়সে কিংবা বেশি বয়সে চুল পাকার ব্যাপারটি হঠাৎ করে ঘটে না। প্রথমে কয়েকটি চুল পাকতে শুরু করে- পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য চুল পাকে।
বংশজাত কারণ ছাড়া আর সেসব কারণে চুল পাকে- চুলের প্রধান পুষ্টি প্রোটিন ও ভিটামিন। এই পুষ্টির অভাবে চুল পাকতে পারে। শরীরে যখনই প্রোটিন কিংবা ভিটামিনের তীব্র অভাব ঘটে তখনই চুলের পরিবর্তন চোখে পড়ে। প্রোটিনের অভাবে চুল শুষ্ক, পাতলা, ভঙ্গুর ও বিবর্ণ হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যারাসমাস ও কোয়াশিওরকর নামক দু’টি রোগে চুল পাকা দেখা দেয়। হৃদরোগীদের চুল খুব দ্রুত পেকে যায়, বিশেষ করে যারা উচ্চরক্তচাপ কিংবা করোনারি হার্টডিজিজে ভুগছেন তাদের চুল পেকে যাওয়ার ঘটনা বেশি। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্রন্থিতে সমস্যা দেখা দিলে চুল পাকে। প্রোজেরিয়া নামক রোগে ১২ বছরের আগেই শিশুর চুল পাকতে শুরু করে।
রথম্যান থমসন সিনড্রোম এবং ডিসট্রফিক মায়েরাটোনিয়া রোগেও চুল খুব তাড়াতাড়ি পেকে যায়। শরীরে ভিটামিন ‘বি’ ১২-এর অভাবেও চুল পাকে। 
এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগে বিশেষ করে সোরিয়াসিস ও শ্বেতীরোগে চুল পাকতে পারে।
চুল পাকলে কী করণীয়?
অনেকের ধারণা চুলে নিয়মিত তেল না মাখলে চুল পেকে যায়। কিন্তু ধারণাটি ভ্রান্ত। চুল পাকার সাথে চুলে তেল দেয়া না দেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। সত্যিকার অর্থে পাকা চুল কালো করার স্থায়ী কোনো উপায় নেই। একমাত্র কলপ ব্যবহার করে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। তবে যেসব রোগের জন্য চুল পেকে যায়- যদি রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব হয় এবং রোগের চিকিৎসা করা যায় তাহলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকা চুল কালো হয়ে ওঠে। এ ছাড়া পাকা চুল কালো করার কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। কলপ মাখার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারো কারো ক্ষেত্রে কলপে এলার্জি হতে পারে। সেজন্য কলপ মাখার আগে ত্বকে একটু ঘষে নিয়ে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে যদি এলার্জি না দেখা দেয়, তবে চুলে মাখা যেতে পারে। কিছু কিছু কোম্পানি চুল কালো করার তেল বা ওষুধের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ওইসব তেল বা ওষুধ চুলে মাখলে চুলে কালো একটি ক্ষণস্থায়ী প্রলেপ পড়ে, কিন্তু তা স্থায়ী কোনো সমাধান দিতে পারে না। বরং ওইসব তেল বা ওষুধ চুলে মাখার কারণে মাথার ত্বকে অনেক সময় এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। তাই চুলে পাক ধরলে প্রথমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে চুল পাকার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা উচিত।
লেখিকা : সহযোগী অধ্যাপিকা ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। 
চেম্বার : দি বেস্ট কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ২০৯/২ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা। ফোন : ০১৬৮২২০১৪২৭ -
 See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/47208#sthash.9b3mbIkY.dpuf

Tuesday, August 18, 2015

মোবাইল থেকে দূরে রাখুন ভাইরাস

অন্যের ফোন বা কম্পিউটার থেকে পছন্দের ডেটা নিতে চাইছেন, অথচ ভাইরাসের ভয়ে আপনি দু্'বার ভাবছেন। কিংবা এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে, সেখানে ঢুকলেই ফোনে ভাইরাস হানা দিচ্ছে-যা আপনার ফোনের ডেটা বা অ্যাপের কাজ আটকে দিচ্ছে। এ সব থেকে মুক্তি পেতে বাজারে কিছু ভাল অ্যান্টি-ভাইরাস রয়েছে- যার সাহায্যে আপনি নির্ভয়ে ডেটা আদানপ্রদান করতে পারেন।
সিএম সিকিওরিটি
অ্যান্ড্রয়েডের একটি জনপ্রিয় অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ সিএম সিকিওরিটি। এতে রয়েছে ভাইরাস স্ক্যানিং, রিমুভ, অ্যাপ্লিকেশন লকের সুবিধা। অন্য কেউ পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার অ্যাপ বা গ্যালারি খোলার চেষ্টা করলে তার নিজস্বী আপনার ফোনে স্টোর হয়ে যাবে। পরে আপনি সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়ে লক খুলে দেখতে পারবেন, কে আপনার ফোন ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল।
অ্যাভাস্ট
ডেস্কটপ অ্যান্টি-ভাইরাসের একটি জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন অ্যাভাস্ট এখন অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে। এতে আছে ইউজার ইন্টারফেস। ভাইরাস স্ক্যান ও রিমুভ করতেও সক্ষম। এতেও রয়েছে পাসওয়ার্ড লকের সুবিধা।
এভিজি
এভিজি অ্যান্টি-ভাইরাসটি অনেকে খুবই পছন্দ করেন। কারণ, এটি ব্যাটারি ও ফোনের হার্ডওয়ারে খুব প্রভাব ফেলে না। ভাইরাস স্ক্যানিং ও ডিলিট করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি বিনামূল্যে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আরও উন্নত সুবিধা পেতে গেলে (যেমন অ্যান্টি থিফ) প্রিমিয়াম ভার্সন নিতে হবে।
এ ছাড়াও বাজারে আরও দু'তিনটি ভাল অ্যান্টি ভাইরাস রয়েছে। যেমন ক্যাসপারস্কি, কুইক হিল, ৩৬০।
(কালেক্টেড From বিডি প্রতিদিন)

Monday, August 17, 2015

বাংলাদেশের ওয়েব সাইড থেকে সবচাইতে সহজ উপায়ে অনলাইনে আয় করুন এবং টাকা উত্তোলন করুন – (Bkash,mobile Recharge,Paypal,Moneybookers,Payza) তাও আবার মোবাইল ওয়েব সাইট থেকেও।

" বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (পরম করুণাময় আল্লাহ্'র নামে শুরু করছি)"
• http://wap4dollar.com/refer.php?refer=a8hidwztpb
Earn @ Wap4dollar.Com
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ...। বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে, আপনাদের দোয়ায়।
আমার আগের টিউন গুলোতে অনেক সারা পেয়েছি, তাই টিউন করতে ভালই লাগে, আজ সবচাইতে সহজ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করা প্রসঙ্গে একটা টিউন করলাম। আশা করি আমার মত আপনারাও এটা দিয়ে উপকৃত হবেন।

যারা শত শত ডলার আয় করেন তারা এই টিউন থেকে দূরে থাকুন। কেননা এটা দিয়ে শত শত ডলার আয় করা খুবই কষ্টকর তবে দক্ষ হলে অনেক ডলার আয় করতে পারবেন।
আমরা অনেকেই নিজের ওয়েব সাইট বানাই,ব্লগ তৈরি করি,এটা করি, সেটা করি। চাইলে ঐ সাইড গুলির মাধ্যমে আমরা আয় করতে পারি। কিন্তু আপনারা চাইলে সহজেই অনলাইনে মজা করার পাশাপাশি আয়ও করতে পারবেন। আর সবার আগে বলে নেই, আমি যে পধতিতে আয় করা শেখাব এইটা ১০০% কাজ করে। আর উপায় টা খুবই সহজ আর যেই সাইট থেকে আয় করবেন তা বিশ্বস্ত বাংলাদেশী ওয়েব সাইড (wap4dollar).
আরো একটা কথা বলে নেই যদি কাজ না হয় সমস্ত দায়ভার আমার। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে কাজ শুরু করে দেই...যেহেতু সব দায়ভার আমি নিয়েছি, সেহেতু একদম clear করে step by step দিচ্ছি যাতে কাজ করতে কোন সমস্যা না হয়।
নিয়মাবলিঃ
১.একটি IP থেকে একটি account খোলতে পারবেন। (একাধিক খুললে ব্লক হবেন,ওই ডিভাইস দিয়ে আর আয় করতে পারবন না)
২.আপনার একটা web/wap বা blog সাইট থাকতেই হবে। web/wap বা blog সাইট এ ভিজিটর যত বেশী হবে আপনার পয়েন্ট তত বারবে। যারা web/wap site বা blog বানাতে পারেন না তাদের জন্য Get a Free Mobile (WAP) Blog গিয়ে খুব সহজে সাইট বানাতে পারবেন।
৩.প্রতিটি web/wap বা blog সাইটে visitor এর click এ আপনি পাবেন ১ পয়েন্ট। একজন visitor ২৪ ঘন্টায় ১টাই ক্লিক করতে পারবে।
৪. ২০০ click = ১ডলার (কিন্তু ৭৮.৪০টাকা)
৫.আপনি 0.15 ডলার হলেই payout করতে পারবেন। (Recharge BD (min. 0.15$) ডলার = ১১.৭৬ টাকা, মানে আপনি ১২ টাকা থেকেই টাকা তুলতে পারবেন)
৬.আপনি আপনার ডলার/টাকা PayPal, Money bookers, Payza, Bkash, Mobil Recharge এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
৭.কারো Referrral link দিয়ে account খুললেই আপনি পাবেন ২০ পয়েন্ট বোনাস।
৮.আপনার Referrral এ কেউ account খুললে আপনিও পাবেন ২০পয়েন্ট। যতজন কে Referr করবেন তত ২০ পয়েন্ট পাবেন।
৯.Request Payout করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনি টাকা/ডলার পেয়ে যাবেন।
১০.আইপি হাইড করে ক্লিক করলে সেই ক্লিক গ্রহনযোগ্য হবেনা।
কাজের ধাপঃ
১. প্রথমে Earn @ Wap4dollar.Com এ গিয়ে সাইন আপ করুন। আমি আমার Referral link দিয়ে দিলাম। যাতে আপনি সাইন আপ করলে ২০ পয়েন্ট পান আর আমিও ২০ পয়েন্ট পাই।
যদি ভাবেন আমার Referral link দিয়ে সাইন আপ করে আমার ২০ পয়েন্ট বাড়াবেন না তাহলে http://www.wap4dollar.com এ যেয়ে সাইন আপ করুন তাহলে আপনিও ২০ পইয়েন্ট পাবেন না আমিও পাব না।
Tick দেওয়া গুলো অবশ্য পূরন করতে হবে।
registration complete হলে সাইন ইন করলে এই রকম আসবে।
(ক,খ,গ,ঘ,ঙ,চ এর বিবরন নিচে এক এক করে দিলাম)
এখানে,
ক) আপনার পয়েন্ট(প্রথম Referrral এ registration complete হলে ২০পয়েন্ট হয়ে থাকবে)
খ) Publisher ADlink  html code যেটার যে কোন একটি আপনার web/wap site বা blog এ দিতে হবে...আপনি ব্যানার ও দিতে পারেন।
তবে আমি একটা Textlink ad code +যে কোন একটা ব্যানার দেওয়াই better মনে করি।
গ) refferal link আপনি কাউকে রেফার করেতে চাইলে এই লিঙ্ক দিয়ে বা web/wap সাইটে  html কোড দিতে পারেন...আপনার Referral এ কেউ account খুললে আপনিও পাবেন ২০পয়েন্ট। যতজন কে Referr করবেন তত ২০ পয়েন্ট পাবেন।যেমন আপনি আমার Referr এ হলে আমি ২০পয়েন্ট পাবো।
ঘ) Earning Statistics এখানে আপনি আপনার পয়েন্ট,আপনার ভিজিটরদের ক্লিক দেখতে পারবেন।
ঙ) Request Payout আপনি এভাবে পে আউট করতে পারবেন।Request Payout করার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনি টাকা/ডলার পেয়ে যাবেন।আপনার পয়েন্ট 60 হলেই Request Payout দিতে পারবেন।।(0.16ডলার=১২টাকা) মানে আপনি ১২টাকা থেকেই টাকা তুলতে পারবেন।
চ) Payout History আপনি আপনার payout এর সব history দেখতে পাবেন।
আশা করি সব বোঝাতে পারলাম।
এভাবে আপনি সবচাইতে সহজ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে আয় করতে পারেন।
এজন্য আপনাকে সুন্দর একটা web/wap বা blog সাইট বানাতে হবে। আর আগে থেকে থাকলে তো কথাই নাই।
কি ভাবে আপনার WAP4DOLLAR একাউন্ট এক্টিভেট করবেন তা step by step।
প্রথমে আপনার WAP4DOLLAR একাউন্ট Login করুন।
আপনার একাইন্টে Publisher Panel এ যান।


আপনার web/wap site বা blog একাউন্ট Login করুন। আমি শুধু ব্লগ একাউন্ট দিয়ে করে দেখাচ্ছি।

নতুন একটি উইন্ডো আসবে। ওখান থেকে Add a Gadget এ HTML/JavaScript ক্লিক করুন। কপি করা Pop Under Code-টি Content বক্স এ Paste করুন Title আপনার পছন্দের যে কোন একটি নাম দিন। Save করুন।


একই ভাবে
• Get JavaScript Code
• Get Direct Ad links গুলো সেট করে নিন আপনার ব্লগে।
আপনার View Blog এ যান। ওখানে এড গুলো দেখতে পাবেন।
প্রতিদিন এড গুলো দেখলে ৭ পয়েন্ট পাবেন। ২৪ ঘন্টায় ১ বার পয়েন্ট পবেন।
আপনার রেফারে যত বেশি মানুষ সাইন আপ করে সব কাজ শেষ করে ১০ পয়েন্ট আয় করবে কেবল তখনই আপনি সাথে সাথে ২০পয়েন্ট পাবেন। কাজেই যত বেশি রেফার তত আয়।
তবে লোভে পড়ে যেন আবার একটা ডিভাইস থেকে একাধিক আইডি খুলে নিজেকেই রেফার করবেন না। তাইলেই ধরা খাবেন, এডমিন আপনাকে ব্লক করে দিবে তখন আর আপনার আয় করা লাগবে না।
আশা করি এই টিউনে সবাই উপকৃত হবেন। টিউন্টা করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তাই কেমন হল তা টিউমেন্ট করে জানাবেন please.
কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন কেননা আমার বাংলা টাইপ খুব খারাপ হয়।
আর কোন অসুবিধা হলে টিউমেন্ট করে জানাবেন।

Monday, April 27, 2015

আপনার ছবি সাজিয়ে রাখুন অসাধারন সব ফ্রেমের মাঝে

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি ভালোই আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি, যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে একটি মজার সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব,  যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ছবি গুলো ফ্রেমের মধ্যে রেখে দিতে পারব । যার মাঝে রয়েছে অসাধারন কিছু ফ্রেম ।  তাহলে আর কথা না বারিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক সফটওয়্যার টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত না জানা সব কথা …
Photo shine হলো একটি ফটো ইডিটিং সফটওয়্যার বা যে কোন ছবি ফ্রেমবন্দী  করার একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার অর্থাৎ Photo shine এর মাধ্যমে আপনি আপনার ছবিতে বিভিন্ন ধরনের ফ্রেম ব্যবহার করে ছবিকে আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন , পারেন ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে, পারবেন ম্যাগাজিন স্টাইলে ছবিটি ফ্রেম বন্দী করতে। photo shine এ আছে অনেক গুলা তাকলাগানো ফটো ফ্রেম, ছবি সুন্দর  ভাবে উপস্থাপন করতে photo shine গুরুত্ত পূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।  খুব সহজ ভাবে ফটো ফ্রেমে ফটো Add করার একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার photo shine । photo shine সফটওয়্যারটিতে যে কোন ছবি ফ্রেম বন্দী করা একেবারে সহজ ।
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করবেন যে ভাবে ঃ-
প্রথমে সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে । তারপর অন্যান্য সফটওয়্যার এর মত ইন্সটল করে নিন, তারপর সেটা অপেন করুন দেখুন নিচের ছবির মত এসেছে
এবার দেখুন উপরের বাম কোনায় New নামক একটা বাটন আছে সেখানে ক্লিক করে আপনি যে ছবিটি ফ্রেমের মধ্যে রাখতে চান তা সিলেক্ট করে নিয়ে আসুন, এবার খেয়াল করুন বাম পাশে অনেক গুলো বাটন আছে যেমন( GIRL, BABY,LOVE) ইত্যাদি ইত্যাদি সেখানে ক্লিক করে আপনার পছন্দের মত ফ্রেম চয়েজ করুন ।  সব শেষে Save বাটনে ক্লিক করে আপনার চবিটি সংরক্ষন করুন ।
তাহলে আজ এই পর্যন্ত আবার দেখা হবে পরের টিউনে,  আল্লাহ হাফেজ ।

Thursday, April 23, 2015

মানব মস্তিষ্ক নিয়ে ১০০টি বিস্ময়কর ও মজাদার তথ্য

অনাদিকাল থেকে মানব মস্তিষ্ক মানুষকে বিস্মিত ও হতবুদ্ধি করে চলেছে। অনেক বিজ্ঞানী এবং ডাক্তার মানব মস্তিষ্ক সম্পর্কে জানতে গিয়ে তাদের জীবনের পুরো সময় পার করে দিয়েছেন।
এটা কোনো বিস্ময়কর ব্যাপার নয় যে মানুষ এই অবিশ্বাস্য রহস্যজনক অঙ্গ সম্পর্কে জেনে আনন্দ লাভ করছে। নিচে আপনি মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করছে, কীভাবে উন্নতি করছে, কীভাবে মানুষকেই নিয়ন্ত্রণ করছে, কীভাবে এটা ঘুম, স্বপ্ন, স্মরণশক্তির ওপর প্রভাব বিস্তার করছে এ রকম আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন যা আপনাকে প্রভাবিত ও উপকারী করবে।
এই বিস্ময়কর ও মজাদার তথ্যগুলো জেনে আপনি যাচাই করুন আপনার মস্তিষ্কের প্রখরতা। শিখুন এবং জানুন আপনার মস্তিষ্ক সম্পর্কে।
১. ওজন:মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৩ এলবিএস।
২. সেরেব্রাম: সেরেব্রাম মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ এবং মস্তিষ্কের ৮৫ ভাগ ওজনই সেরেব্রাম বহন করে।
৩. আবরণ: মস্তিষ্কের ওজনের প্রায় দ্বিগুণ ওজন হচ্ছে মস্তিষ্কের আবরণ বা চামড়ার।
৪. ধূসর পদার্থ: মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থ তৈরি হয় নিউরন দিয়ে যা বিভিন্ন বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ সংকেত নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. সাদা পদার্থ: সাদা পদার্থ Dendrite ও অ্যাক্সনের সূক্ষ্ম তন্তু দিয়ে তৈরি হয় যা নিউরনকে সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্র সৃষ্টি করে।
৬. ধূসর ও সাদা পদার্থের পরিমাণ: মস্তিষ্কের ৬০ ভাগ সাদা পদার্থ এবং ৪০ ভাগ ধূসর পদার্থ।
৭. পানি: মানব মস্তিষ্কের ৭৫ ভাগ পানি রয়েছে।
৮. নিউরন: আপনার মস্তিষ্কে একশ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে।
৯. ব্যথাহীনতা: মস্তিষ্কে ব্যথা সংগ্রাহক কোনো অঙ্গ নেই তাই মস্তিষ্ক কখনো ব্যথা অনুভব করে না।
১০. শাখা-প্রশাখা: প্রত্যেক নিউরনে ১০০০ থেকে ১০,০০০ শাখা-প্রশাখা বা সিন্যাপসিস রয়েছে।
১১. সবচেয়ে বৃহৎ মস্তিষ্ক: হাতির মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের অপেক্ষা বৃহৎ হলেও হাতির মস্তিষ্ক তার দেহের ০.২৫ ভাগ যেখানে মানুষের মস্তিষ্ক তার দেহের ওজনের দুই ভাগ। এতে বোঝা যাচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কই সবচেয়ে বড়।
১২. রক্ত সঞ্চালক শিরা: একশ মাইল লম্বা শিরা রয়েছে মানব মস্তিষ্ক।
১৩. চর্বি: মানুষের মস্তিষ্ক সবচেয়ে চর্বিবহুল অংশ এবং দেহের মোট চর্বির প্রায় ৬০ ভাগ।
মস্তিষ্কের বৃদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া
গর্ভাশয় থেকে শুরু করে মানব মস্তিষ্ক ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত নিজেকে বৃদ্ধি করে এক অবিশ্বাস্য পথে এগিয়ে যায়।
১৪. নিউরন: নিউরন বৃদ্ধির হার প্রথম ভ্রূণ সৃষ্টির পর থেকে প্রতি মিনিটে প্রায় ২৫০ হাজার।
১৫. জন্মের সময় আকৃতি: জন্মের সময় থেকে মানব মস্তিষ্ক পূর্ণাঙ্গ মানুষের মস্তিষ্কের আকৃতি নিয়ে আসে এবং মস্তিষ্কের প্রায় পূর্ণাঙ্গ কোষ নিয়েই আসে।
১৬. নবজাতকের বৃদ্ধি: নবজাতকের প্রথম বছর মস্তিষ্ক তিনবার আকারে বৃদ্ধি পায়।
১৭. বৃদ্ধিকরণের সমাপ্তি: মস্তিষ্ক ১৮ বছর বয়সের পর বৃদ্ধি হয় না।
১৮. সেরেব্রাল কর্টেক্স: মস্তিষ্ক যত ব্যবহৃত হয় ততই এর সেরেব্রাল কর্টেক্স মোটা হতে থাকে।
১৯. উদ্দীপকের ভূমিকা: একটি উদ্দীপক পরিবেশে শিশু ২৫% বেশি দক্ষ হয়ে গড়ে যে কোনো অনুদ্দীপক পরিবেশে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শিশুর তুলনায়।
২০. নতুন নিউরন: মানুষের মস্তিষ্কের সারা জীবন ্লায়ু বৃদ্ধি করতে থাকে পরিবেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে।
২১. শব্দ করে পড়ার উপকারিতা: শব্দ করে পড়া এবং শিশুদের সাথে কথা বলা মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য মঙ্গলজনক।
২২. আবেগ: আনন্দ, জয়, সুখ, ভয় এবং লজ্জা ইত্যাদি আবেগীয় অনুভূতি শিশু জন্ম থেকেই বহন করে। শুধু পরিবেশের এবং বৃদ্ধি প্রতিপালনের প্রক্রিয়া সেই আবেগীয় অনুভূতিকে আকার দেয়।
২৩. মস্তিষ্কের প্রথম অনুভূতি: প্রথম শিশু ত্বকের মাধ্যমে অনুভূতি পেতে শেখে। ঠোঁট এবং গালের স্পর্শ অনুভূতি জন্মায় আট সপ্তাহের মধ্যে এবং বাকি অনুভূতি জন্মের ১২ সপ্তাহের মধ্যে জন্মায়।
২৪. দ্বিভাষাকেন্দ্রিক মস্তিষ্ক: যেসব শিশু পাঁচ বছর বয়সের আগে দুটি ভাষা শেখে তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় ভিন্ন হয় এবং তাদের ধূসর পদার্থ বেশি ঘন হয়।
২৫. মস্তিষ্কের ওপর যক্ষ্মার প্রভাব: বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা যায় যে, যেসব শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে যক্ষ্মার প্রভাব বেশি তাদের মস্তিষ্ক বেশি আঘাত পেয়ে থাকে।
মানব মস্তিষ্কের ক্রিয়া
২৬. অক্সিজেন: দেহের মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০ ভাগ মস্তিষ্ক ব্যবহার করে থাকে।
২৭. রক্ত: অক্সিজেনের মতো প্রায় ২০ ভাগ রক্তই মস্তিষ্ক আদান-প্রদান করে।
২৮. অবচেতন: যদি মস্তিষ্ক ৮ থেকে ২০ সেকেন্ড রক্ত না পায় তবে মানুষ জ্ঞান হারায়।
২৯. গতি: মানব মস্তিষ্ক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে ন্যূনতম ০.৫ মিটার সেকেন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি ১২০ মিটার সেকেন্ড পর্যন্ত।
৩০. ক্ষমতা: যখন মস্তিষ্ক জেগে থাকে তখন মস্তিষ্ক ১০ থেকে ২৩ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে যা দিয়ে একটি বাল্ব জ্বালানো যায়।
৩১. হাই তোলা: এটা ধারণা করা হয় যে, একবার হাই তোলা মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পাঠাতে কাজ করে যাতে মস্তিষ্ক শান্ত হয় এবং একে জাগিয়ে রাখা যায়।
৩২. নিউকর্টেক্স: নিউকর্টেক্স মস্তিষ্কের প্রায় ৭৬ ভাগ অংশ তৈরি করে। মানুষের ভাষা আদান প্রদান এবং চেতনার জন্য নিউকর্টেক্স দায়ী। প্রাণীদের চেয়ে মানুষের মস্তিষ্কের নিউকর্টেক্স বেশি মোটা।
৩৩. ১০ ভাগ: মানুষের বয়স্ককালে মস্তিষ্ক ১০ ভাগ কাজ করে থাকে অন্য সময়ের তুলনায় এটা সত্যি নয়। মস্তিষ্কের প্রতিটা অংশই তার কাজ জানে।
৩৪. মস্তিষ্কের মৃত্যু: মস্তিষ্ক ৪ থেকে ৬ মিনিট অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে এবং তারপর মারা যেতে থাকে। ৫ থেকে ১০ মিনিট অক্সিজেন না থাকলে মস্তিষ্কের স্থায়ী সমস্যা দেখা দেয়।
৩৫. সর্বোচ্চ তাপমাত্রা: যখন আপনি জ্বরে আক্রান্ত হবেন তখন মনে রাখবেন মানুষের মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ তাপ সহনীয় ক্ষমতা ১১৫.৭ ডিগ্রি এবং ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ বাঁচতে পারে।
৩৬. চাপ সহনীয় ক্ষমতা: যখন মানুষকে অত্যধিক চাপ সহ্য করতে হয় তখন মস্তিষ্কের কোষ, গঠন বা আকার এবং কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।
৩৭. ভালোবাসাজনিত হরমোন এবং আত্মসংবৃত্তি: অক্সিটোক্সিন নামক হরমোন মস্তিষ্ক থেকে ক্ষরিত হয় এবং ভালোবাসা এবং আত্মসংবরণের জন্য দায়ী।
৩৮. খাবার এবং বুদ্ধিমত্তা: নিউইয়র্কের ১ মিলিয়ন শিশুর ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে যারা কৃত্রিম সুগন্ধকারক এবং প্রতিরোধক জীবাণুসম্পন্ন দুপুরের খাবার খায় না তাদের ১৪ ভাগই বুদ্ধিমত্ত্বায় অন্য অনেক শিশু যারা ওপরোল্লিখিত খাবার খায় তাদের তুলনায় ভালো করে।
৩৯. সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত খাবার: ২০০৩ সালের মার্চ ডিসকভার পত্রিকার ৭ বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় যারা সমুদ্রের খাবার সপ্তাহে অন্তত একবার খায় তারা অন্য শিশুদের তুলনায় ৩০% কম মতিভ্রষ্টতা বা উন্মত্ততা রোগে আক্রান্ত হয়।
৪০. কাতুকুতু দেয়া: আপনি নিজে নিজেকে কাতুকুতু বা সুরসুরি দিতে পারবেন না কারণ আপনার মস্তিষ্ক আপনার স্পর্শ এবং অন্য কারও স্পর্শের পার্থক্য করতে পারে।
৪১. কল্পিত খেলার সাথী: অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় প্রমাণিত যে, যারা কল্পিত খেলার সাথী নিয়ে খেলা করে তারা অন্যদের তুলনায় বেশি আদর যত্ন বা সোহাগ যা প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে ঘটে সে রকমভাবে বড় হয়।
৪২. মুখের অভিব্যক্তি বুঝতে পারা: কোনো কথা ছাড়াই আপনি অন্যের সুখের অভিব্যক্তি বুঝতে পারবেন যেমন সে কি খুশি অথবা দুঃখিত কিংবা রাগান্বিত। মস্তিষ্কে অ্যামাগডালা নামক একটি ছোট অঞ্চল আছে যার মাধ্যমে আপনি অন্যের অভিব্যক্তি কোনো কথা ছাড়াই বুঝতে পারবেন।
৪৩. কানে শব্দ শোনা: অনেক বছর আগে ডাক্তাররা মনে করত কোনো বস্তুর ঝনঝনে শব্দ থেকে আমরা কানে শব্দ শুনতে পাই কিন্তু নতুনতম তথ্য হচ্ছে এই যে আমাদের শ্রবণশক্তির জন্যও মস্তিষ্কই দায়ী।
৪৪. পুরুষ এবং মহিলার আঘাতপ্রাপ্তিতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া: বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, পুরুষ এবং মহিলারা আঘাতে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায় যা প্রমাণ করে কেন তারা দুঃখজনক ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা প্রদান করে।
৪৫.স্বাদ আস্বাদনে বিশেষত্ব: একটা শ্রেণী আছে যাদের জিহ্বায় বিভিন্ন স্বাদ আস্বাদনকারী গ্রন্থি রয়েছে যার ফলে তাদের মস্তিষ্ক খাদ্য এবং পানীয়ের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। এমনকি তারা বিভিন্ন গন্ধের পার্থক্য করতে পারে যা অন্যরা পারে না।
৪৬. ঠাণ্ডা: কিছু ব্যক্তি আছে যারা ঠাণ্ডার প্রতি বিশেষ প্রতিক্রিয়াশীল এবং ঠাণ্ডায় অসুস্থবোধ করে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা প্রমাণ করে তাদের দেহে এমন কিছু যোগাযোগ গ্রন্থি আছে যা মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে তাদের শীত লাগছে।
৪৭. সিদ্ধান্ত গ্রহণ: মহিলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরুষ অপেক্ষা বেশি সময় নেয় কিন্তু সিদ্ধান্ত পালনে তারা পুরুষ অপেক্ষা বেশি দৃঢ় কারণ পুরুষেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর অনেক ক্ষেত্রেই পালনে বেশি হেরফের করে ফেলে।
৪৮. ব্যায়াম: কিছু পরীক্ষা প্রমাণ করে যখন কোনো ব্যক্তি বেশি কাজে আগ্রহী আর কখনো কোনো ব্যক্তি একেবারেই অলস তা নির্ধারণ করে কেন কারও জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং ব্যায়াম করা কঠিন এবং কারও জন্য নয়।
৪৯. বিরক্তি: বিরক্তির সৃষ্টি হয় কিন্তু উদ্দীপকের পরিবর্তনের অভাবে যা বেশির ভাগ নির্ভর করে মস্তিষ্ক কীভাবে কোনো কাজকে গ্রহণ করছে এবং যা মানুষের সহজাত কৌশলের ওপর নির্ভর করে।
৫০. শারীরিক অসুখ: দেহ ও মনের সাথে এক ও অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ৫০-৭০% লোকই ডাক্তারের কাছে আসে শারীরিক অসুখ নিয়ে তার কারণ তাদের মানসিক উপসর্গ।
৫১. মন খারাপ এবং কেনাকাটা: গবেষকরা দেখাচ্ছে নীলাঞ্জনারা তাদের দুঃখ কমাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেনাকাটা করে।
স্মরণশক্তি
৫২. ঘোর মন্থরতা: প্রায়শই ঘোর মন্থরতা আপনার স্মরণশক্তি যা সাধারণত চাপ সহনকারী হরমোনের নিঃসৃত হওয়ার কারণে ঘটে তার কারণ ঘটায়।
৫৩. নতুন যোগাযোগ: প্রত্যেকটি সময় যখন আপনি নতুন কিছু নিয়ে ভাবেন বা পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করেন তখন প্রত্যেকবার মস্তিষ্কের সাথে আপনার নতুন যোগাযোগের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
৫৪. সম্পর্ক সৃষ্টি: স্মরণশক্তি বিভিন্ন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। তাই আপনি যদি কোনো কিছু মনে রাখতে চান বা মনে করতে চান তবে তার সাথে কিছু সম্পৃক্ত করে মনে রাখুন।
৫৫. সুগন্ধি এবং স্মরণশক্তি: স্মরণশক্তি সুগন্ধ দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। তাই যারা সুগন্ধিদ্রব্য ব্যবহার করেন তারা বেশি গভীর স্মরণশক্তিমূলক আবেগ পেতে সক্ষম হন।
৫৬. স্মরণশক্তির ব্যাহত তৎপরতা: অ্যাগোসিনা হচ্ছে এমন একটি শব্দ যখন আপনি কোনো একটি শব্দ জানেন এবং যা আপনার জিহ্বার ডগায় কিন্ত যখন আপনার বলা দরকার তখন মনে আসি আসি করেও আসছে না।
৫৭. ঘুম: যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন তা হচ্ছে আপনার সবচেয়ে ভালো সময় যা আপনাকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে সব ঘটনা মনে রাখতে সাহায্য করে।
৫৮. নিদ্রাহীনতা: নিদ্রাহীনতা আপনার মস্তিষ্কের নতুন কিছু সৃষ্টির ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৫৯. বিশ্বচ্যাম্পিয়ন: স্মরণশক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্যক্তি যার নাম বেন প্রিডমোর। তিনি মাত্র ৫ মিনিটে ৯৬টি ঐতিহাসিক ঘটনা মনে রাখতে পারতেন এবং ছাব্বিশ দশমিক দুই আট সেকেন্ডে পুরো তাশ হাত সাফল করতে পারতেন।
৬০. ইস্ট্রোজেন এবং স্মরণশক্তি: ইস্ট্রোজেন মস্তিষ্কের স্মরণশক্তির সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।
৬১. ইনসুলিন: ইনসুলিন দেহের রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে কিন্তু সম্প্রতিকালে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মস্তিষ্কে ইনসুলিন স্মরণশক্তির বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
ঘুম এবং স্বপ্ন
৬২. ঘুম এবং স্বপ্ন দেখে শুধু যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারে না তারা মনে করে তারা স্বপ্ন দেখে না। আসলে প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে।
৬৩. স্বপ্নের পরিমাপ: বেশির ভাগ লোক ১-২ ঘণ্টা স্বপ্ন দেখে এবং প্রত্যেক রাতে প্রায় ৪-৭টা স্বপ্ন দেখে।
৬৪. চিন্তার অবসাদ: যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন তখন আপনার মস্তিষ্ক থেকে এমন একটা হরমোন নিঃসৃত হয় যা আপনাকে স্বপ্নের অতল গহ্বরে নিয়ে যায় কিন্তু আপনার সক্রিয় আঙ্গিক ক্রিয়া নিবারণ করে এবং আপনাকে ঘুমের রাজ্যে জড়িয়ে চেতনাহীন বা অবসাদগ্রস্ত করে রাখে।
৬৫. ক্ষয়িত বা হারানো স্বপ্ন: স্বপ্নের ৫ মিনিট পর স্বপ্নের অর্ধেক স্মৃতি লোপ পায়। দশ মিনিট পর স্বপ্নের ৯০ ভাগ লোপ পায়। স্বপ্ন লিখে রাখুন যদি আপনি মনে রাখতে চান।
৬৬. মস্তিষ্কের তরঙ্গ: সমীক্ষা প্রমাণ করেছে যে মস্তিষ্কের তরঙ্গ অধিক সচল থাকে যখন আপনি স্বপ্ন দেখেন এবং যখন আপনি জেগে থাকেন সেই সময় থেকেও।
৬৭. রঙ: কিছু লোক প্রায় ১২ ভাগ লোক সাদা কালো স্বপ্ন দেখে যখন অন্যরা রঙিন স্বপ্ন দেখে।
৬৮. অন্ধ লোকও স্বপ্ন দেখে: স্বপ্ন হচ্ছে দৃশ্যমান কোনো বস্তু অপেক্ষা বেশি কিছু এবং অন্ধ লোকও স্বপ্ন দেখে। অন্ধ লোকটি স্বপ্নে ছবি দেখতে পারে কি না তা নির্ভর করে তারা জন্মকালীন অন্ধ বা জন্মের পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কি না তার ওপর।
৬৯. নাক ডাকা: যদি আপনি নাক ডাকেন তবে আপনি স্বপ্ন দেখেন না।
৭০. স্বপ্নের সময়কাল: স্বপ্নের সময় যদি আপনি জেগে যান তবে আপনি সারা রাত ঘুমালে স্বপ্ন যেটুকু মনে রাখতে পারতেন তা অপেক্ষা বেশি মনে রাখতে পারবেন।
৭১. চিহ্ন: যারা স্বপ্নের মানে জানতে চান তাদের জন্য বলছি স্বপ্ন এমন কিছু উপস্থাপন করে যা আপনি ব্যক্তি জীবনে নন। অবচেতন মন চেষ্টা করে আপনার কাঙ্খিত কোনো কিছুর সাথে সংযোগ ঘটাতে। তাই স্বপ্ন হচ্ছে এক ধরনের সংকেতময় প্রতিবেদন।
৭২. অ্যাডেনোসাইন: ক্যাফেইন দেহে অ্যাডেনোসাইন প্রবেশে বাধা দেয় এবং সতর্কতা সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে এই ক্যাফেইন না খাওয়া স্বাভাবিক নিদ্রা এবং ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা কমাতে সাহায্য করে।
৭৩. স্বপ্ন প্রদর্শনী: জাপানের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক যন্ত্র যা মনের চিন্তাভাবনার চিত্র দেখতে এমনকি স্বপ্নকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে সক্ষম।
সভ্যতার এক বিস্ময়কর তথ্য
৭৪. উড়োজাহাজ এবং মাথাব্যথা: একটি গবেষণা প্রমাণ করেছে উড়া এবং মাথাব্যথার মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। বলা হয়েছে যারা প্লেন চালায় তাদের মধ্যে ৬ ভাগ লোক বেশি মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয় যারা উড়োজাহাজে ভ্রমণ করছে তাদের অপেক্ষা।
৭৫. হাত সাফাই: ভোজবাজি বা জাদু দেখানো মস্তিষ্কের পরিবর্তন আনতে পারে সাত দিনের চেয়েও কম সময়ে। সমীক্ষণ দেখিয়েছে নতুন কিছু শেখা মস্তিষ্কে খুব দ্রুত পরিবর্তন আনতে পারে।
৭৬. ডিজনি এবং ঘুম: স্লিপ মেডিসিন নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে কীভাবে মায়া ডিজনি খেলায় বিভিন্ন প্রাণীদের দিয়ে তাদের ঘুমের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে খেলার নানা কৌশল শেখাতে গিয়ে।
৭৭. চোখ টেপা: প্রত্যেক সময় আমরা চোখের পাতা ফেলি এবং মস্তিষ্ক এটা করে এবং সব সময় সব কিছু দৃশ্যমান রাখাও যাতে পুরো পৃথিবী আমাদের সামনে অদৃশ্য না হয় যখন আমরা চোখের পাতা ফেলি। আমরা দিনের ভেতর প্রায় বিশ হাজার বার চোখের পাতা ফেলি।
৭৮. হাসি: কোনো কিছু শুনে বা দেখে হাসি পাওয়া এত সোজা নয় কারণ এর জন্য মস্তিষ্কের ৫টি অঞ্চলকে সক্রিয় হতে হয়।
৭৯. হাই সংক্রামক: কখনো লক্ষ করেছেন আপনার হাই তোলার পর আপনার চারপাশের লোকজন কী করছে? দেখা যাবে তারাও হাই তুলছে। কারণ বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন এটা প্রাচীন মানুষের সামাজিক আচরণের একটি অংশ।
৮০. মস্তিষ্কের সংরক্ষণ: হার্ভার্ড প্রায় ৭০০০ মস্তিষ্কের সংরক্ষণ করেছেন।
৮১. বাহ্যিক এলাকা: মহাবিশ্বের ঘনত্বের হেরফের মস্তিস্ককে বিভিন্ন উপায়ে আঘাত করে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন কীভাবে এবং কেন মানুষ চাঁদে পা রাখতে চায়।
৮২. গান: গান শুনলে বড় এবং ছোট উভয়ের মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতা বুদ্ধি পায়।
৮৩. চিন্তা: মানুষের চিন্তা যা তারা বিশ্বাস করে তার সম্মুখীন হয় তারা প্রায় ৭০,০০০ বার।
৮৪. সব্যসাচী: যারা বামহাতি বা সব্যসাচী তাদের মস্তিষ্কের দুটি খণ্ডের সংযোজক অঙ্গ যার নাম করপাস কোলোসাম যেটি ১১ ভাগ বেশি চওড়া ডানহাতি লোকদের তুলনায়।
৮৫. চাপসম্পন্ন কাজ: একটি সমীক্ষণে দেখা যায় প্রথমে হিসাবরক্ষক, তারপর লাইব্রেরিয়ান, তারপর বাস ও ট্রাকচালক সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথায় ভুগে থাকে।
৮৬. অ্যারিস্টটল: অ্যারিস্টটল ভুলবশত ভেবেছিলেন মস্তিষ্কের সব কাজ হৃৎপিণ্ডে ঘটে।
৮৭. স্বজাতি ভক্ষণ: কিছু পরীক্ষা প্রমাণ করেছে যে, মানুষের দেহে এমন কিছু জিন রয়েছে যা তাদের স্বজাতি ভক্ষণ রোগ থেকে দূরে রাখে। এ থেকে ধারণা করা হয় যে আদিকালের মানুষ তাদের নিজেদের মাংস ভক্ষণ করত।
৮৮. শেক্সপিয়ার: ব্রেইন শব্দটি শেক্সপীয়রের শেক্সপিয়ার প্রায় ৬৬ বার ব্যবহার করেছিলেন।
৮৯. আলবার্ট আইনস্টাইন: আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের আকার সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের আকারের সমান ছিল। শুধু মস্তিষ্কের যে অংশ গণিত এবং তৎসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত সেটি আকারে ভিন্ন ছিল। ওই অংশটি প্রায় ৩৫ ভাগ চওড়া ছিল সাধারণ মানুষের তুলনায়।
৯০. লন্ডনের টেক্সি ড্রাইভার: লন্ডনের টেক্সি চালকরা বিখ্যাত ছিল লন্ডনের মতো বিশাল এলাকায় রাস্তাঘাট চেনার জন্য। তাদের মস্তিষ্ককে বলা হতো হিপোক্যাম্পাস বা বিশাল অঞ্চল। বিশেষত যারা অনেক দিন ধরে টেক্সি চালায়। এ জন্য যারা বেশি মনে রাখতে চায় তাদের মস্তিষ্ক ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে।
৯১. সপ্তম লেনিন: লেনিনের মৃত্যুর পর তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা গেছে তার মস্তিষ্ক অস্বাভাবিকভাবে বড় এবং কিছু অংশে অসংখ্য নিউরন রয়েছে যা ব্যাখ্যা দান করে তার তীব্র এবং আক্রমণাত্মক তীক্ষ্ন অত্যাচারী মনোভাবের এবং যার জন্য তিনি বিখ্যাত।
সবচেয়ে পুরাতন মস্তিষ্ক
৯২. পুরাতন মস্তিষ্ক: ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০০ বছর পুরানো মস্তিষ্কের সন্ধান পাওয়া গেছে।
৯৩. বেব রুথ: কলম্বিয়ার মনোবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র বেবের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছে যে,এতে প্রায় ৯০ ভাগ বেশি কাজের দক্ষতা সম্বন্ধীয় বস্তু রয়েছে যা সর্বাধিক মানুষের থাকে ৬০ ভাগ।
৯৪. ডানিয়েল ট্যামেট: ডানিয়েল ট্যামেট যে ছিল আত্মসংবেদী পণ্ডিত তার তিন বছর বয়সে মৃগী সংক্রান্ত অপারেশন ঘটে। তিনি তিন বছর বয়স থেকে গণিতে পারদর্শী ছিলেন এবং সাতটি ভাষা জানতেন এবং নিজে নিজে শব্দ বা ভাষা সৃষ্টিতে সক্ষম ছিলেন।
৯৫. কেউথ জ্যারেট: এই যাজক এবং গায়ক তিন বছর বয়স থেকে নিখুঁত ধর্ম উপদেশ দিতে পারত এবং বিজ্ঞানীরা তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেছিল যে তার মস্তিষ্কে ডান দিকের সম্মুখ ভাগ কিছুটা উঁচু ছিল।
৯৬. ২০০০ অব্দ: নৃবিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে ওই সময়ে মস্তিষ্কের খুলিতে ছিদ্র করার মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হতো
৯৭. ১৮১১: স্কটিশ সার্জন চার্লস বেল ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে প্রতিটি অনুভূতির একটি যোগাযোগ কেন্দ্র রয়েছে মস্তিষ্কে।
৯৮. ১৮৯৯: অ্যাসপিরিন নামক ওষুধটি ব্যথা নিবারক হিসেবে বাজারজাত হয়েছিল কিন্তু ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়া এটি নিষিদ্ধ ছিল ১৯১৫ সাল পর্যন্ত।
৯৯. ১৯২১: হারমান রোরসাচ আবিষ্কার করেছেন বিখ্যাত ইনক ব্লট পরীক্ষা।
১০০. ১৯৫৯: প্রথম ক্ষুদ্র লেজবিশিষ্ট বানর মহাশূন্যে পাঠানো হয়েছিল মানুষের আচরণ পরীক্ষার জন্য।

Image

Free Updates to Email
Follow Me:
facebook twitter gplus pinterest rss
https://www.facebook.com/rubel29bd