ড্রোন সম্পর্কে সাধারনত নেতীবাচক কথাই বেশি শোনা যায়। তবে ড্রোন শুধু প্রানহানীতেই নয়, প্রান রক্ষায়ও অবদান রাখতে পারে। সম্প্রতি একটি ইরানী গবেষনা কেন্দ্র এমনই একটি ড্রোন তৈরি করেছে যেটি সমুদ্রে ডুবন্ত মানুষের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করবে। বছরখানেক আগেরএই কনসেপ্টটি এখন এখন প্রোটটাইপে পরিনত হয়েছে।
সম্প্রতি কাস্পিয়ান সাগরে ডুবে বেশ কিছু প্রানহানীর ঘটনার পর এই ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। বেশ কয়েকটি পাখাযুক্ত এই ড্রোন একইসাথে বেশ কয়েকটি ভাসমান বয়া বহন করতে সক্ষম। ফলে এটি একইসাথে কয়েকজন ডুবন্ত মানুষের জীবন রক্ষায় সক্ষম। অন্যান্ন ড্রোনের মত এটি চলার পথের হিসেব রাখতে পারে জিপিএস এর মাধ্যমে এবং কাজ শেষে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে পারে। Pars নামের এই ড্রোনটি মানুষ লাইফগার্ডের চাইতে ৫০ সেকেন্ড দ্রুত কার্যসম্পাদনে সক্ষম।
কাস্পিয়ান সাগরের তীরে চালানো একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে তীর থেকে ৭৫ মিটার দূরে ডুবন্ত একজন মানুষকে এটি ভাসমান বয়া পৌছে দিয়েছে মাত্র ২২ সেকেন্ডে যা কিনা সাধারন মানুষ লাইফগার্ডের চাইতে ৫০ সেকেন্ড দ্রুত। বিল্টইন এলইডি লাইটের মাধ্যমে Pars রাতে কাজ করতেও সক্ষম। ড্রোনটিকে বানিজ্যিকভাবে উতপাদনের লক্ষে বিনিয়োগকারীর খোঁজ করছে নির্মানকারী দল।
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment