বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বিনামূল্যে আসল মাষ্টার কার্ড নিয়ে নিন!!

সুবিধাগুলো ০১. ১০০% আসল মাষ্টার কার্ড আপনার কাছে পাঠানো হবে। ০২. প্রায় সকল ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করতে পারবেন (যেমন hostgator, namecheap, godaddy, amazon etc)

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Friday, September 19, 2014

সেরা পিটিসি সাইট

আপনি চাইলে এখন থেকেই শুরু করতে পারেন।
http://www.akvebux.com/?ref=rubel9bd

Tuesday, September 16, 2014

দেখে নিন প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-2014


নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
পদের নাম- সহকারী শিক্ষক     
                                                                                                                                                                            আবেদন শুরু- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ( সকাল ১০:৩০ মিনিট )
আবেদন শেষ- ১৮ অক্টোবর ২০১৪ ( রাত ১১:৫৯ মিনিট )
শিক্ষাগত যোগ্যতা->>>>>>
পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে-
কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হইতে নূন্যতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণী/সমমানের জিপিএসহ স্নাতক বা সমমান ডিগ্রী।
মহিলা পার্থীদের ক্ষেত্রে-
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/সমমান জিপিএসহ উত্তীর্ণ অথবা স্নাতক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
< বেতনক্রম >>>>>>>>
) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
বেতনস্কেল: টাকা ৫২০০-৩২০x৭-৭৪৪০-ইবি-৩৪৫x১১-১১২৩৫/-
(জাতীয় বেতনস্কেল ২০০৯ অনুযায়ী)
) প্রশিক্ষণবিহীন
বেতনস্কেল: টাকা ৪৯০০-২৯০x৭-৬৯৩০-ইবি-৩২০x১১-১০৪৫০/-
(জাতীয় বেতনস্কেল ২০০৯ অনুযায়ী)
আবেদনের জন্য প্রবেশ করুন-http://www.dpe.gov.bd/site/notices/ec567210-b717-47be-8876-50393726fb45

ঘরে বসে আয়-২


ফ্রিল্যান্সিং করে এদেশের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এ ক্ষেত্রটির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইল এর প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম পর্ব পড়ুন: ঘরে বসে আয়
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলবর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। মার্কেটপ্লেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রোফাইলকে আকর্ষণীয় করে তৈরি করা যায়। প্রোফাইলে তৈরির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে
১. হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
২. স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স মার্কেটপ্লেসে প্রচুর স্কিল টেস্ট বিনা খরচেই দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হন না কেন কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে।
৩. পোর্টফোলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফোলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবেন যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। আকর্ষণহীন একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।
কোন ধরনের কাজের জন্য আবেদন করবেন?
কোনো একটা জব ওপেন করে জবের ডান পাশে দেখবেন বায়ারের তথ্য দেওয়া আছে। যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড নট ভেরিফাইড লেখা সেসব বায়ারের কাজের জন্য আবেদন করবেন না। পেমেন্ট মেথড ভেরিভাইড থাকলে তবে আবেদন করবেন।

ক্লায়েন্টের কাছে কাজের জন্য আবেদন করা
যখন কোনো কাজে/জবে আবেদন করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লেখার ধরন প্রফেশনাল হয়। কখনোই কপি-পেস্ট করে আবেদন পাঠাবেন না। এটা করলে কাজ পাওয়া দুরূহ তো হবেই বরং অনেক ক্লায়েন্ট আপনার লেটার স্প্যাম হিসেবে মার্ক করলে মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্টটি হারাতে পারেন। যেটা করা উচিত সেটা হলো প্রতিটি জব ভালোভাবে পড়ে তারপর চিন্তা করে গুছিয়ে একটি লেটার লিখে পাঠানো। এ ক্ষেত্রে আপনি একটি ফরম্যাট ফলো করতে পারেন, যেমন:
Hello, Good Day, Good Morning অথবা Evening, ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। Dear Sir/Madam, Dear Manager, ইত্যাদি দিয়ে শুরু না করাই ভালো।
তারপর এক লাইনে আপনি তার কাজের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন, এ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বুঝবে আপনি তার জবটি পড়েছেন। তারপর ২-৩টি লাইন লিখুন আপনার কোন দক্ষতা তার প্রজেক্টে কাজে আসবে এবং কেন।র ৪-৫টি বুলেট পয়েন্ট করে লিখুন আপনি তার কাজটি পেলে কী কী ধাপে করবেন।
আপনি কোন ফাইল এটাচ (যুক্ত) করে থাকলে উল্লেখ করুন। সর্বশেষে ধন্যবাদ দিয়ে আপনার লেটার শেষ করুন।
এভাবে একটি ফরম্যাট ফলো করলে দেখবেন কখনই কপি-পেস্ট করতে হবে না। তবে হ্যাঁ, দুটি ব্যাপার কখনই করবেন না। একটা হলো লেটারে নিজের ই-মেইল অথবা যোগাযোগের কোনো আইডি উল্লেখ করবেন না এবং কখনই আপনাকে যেন কাজটি দেয় এটা নিয়ে জোর করবেন না। তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে পেশাদার নাও ভাবতে পারে। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজের পারিশ্রমিক চাইবেন।
সাক্ষাত্কার
চাকরির বিজ্ঞাপন পড়ে আমরা কী করি? আমরা সেই বিজ্ঞাপন পড়ে ভালো লাগলে সেই চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠাই।  আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো জব পোস্ট করা হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে বায়ার কয়েকজনকে সাক্ষাত্কারের জন্য বলেন।  তারপর একজন বা দুইজনকে নিয়োগ (হায়ার) দেয় মানে কাজটি করতে দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বলে বিডিং বা বিড করে কাজ পাওয়া।  বায়ার আপনার কভার লেটার এবং প্রোফাইল দেখে পছন্দ করলে আপনাকে মেসেজ দিয়ে ইন্টারভিউ নেবে। আপনিও মেসেজ দিয়ে উত্তর দেবেন। আপনাকে ওই আউটসোর্সিং সাইটেই মেসেজ দেবে যে আপনি আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ওই সাইটেই মেসেজ দিয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপের মাধ্যমে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট খুলে নেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার কাজটি করতে দেবে মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার (Hire) করবে। জবটি অ্যাকটিভ হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে Your contract Job Name started. তারপর কাজ শুরু করবেন। 
কীভাবে কাজ করবেন?
আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে দুই ধরনের জব আছে। জব আছে দুই ধরনের। আওয়ারলি এবং ফিক্সড প্রাইস। আওয়ারলি জবগুলো আপনার ইচ্ছেমতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো দেখে আপনাকে পেমেন্ট দেবেন। আর আওয়ারলি জবের ক্ষেত্রে টাইম ট্র্যাকার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নেবেন । এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার পর ওপেন করে সাইন-ইন করে যে জবটি করতে চান সেটি নির্বাচন করে Start বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। ঘণ্টায় ৬টির মত। সময় গণনার সাথে সাথে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার ওই স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে Buyer Name ended your contract Job Name. তখন বায়ার আপনাকে একটি ফিডব্যাক দেবেন এবং আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। সর্বোচ্চ ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে মার্ক দেবেন এবং বায়ার আপনাকে তা দেবেন। কেউ কারোরটা আগে দেখতে পাবেন না। দুই জনে (কনট্রাক্টর এবং বায়ার) ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অন্য জনেরটা দেখতে পাবেন। কেউ একজন ফিডব্যাক না দিলে বা উভয়েই না দিলে ১৪ দিন পর একজন অন্যজনের ফিডব্যাক দেখতে পাবেন। ১৪ দিন পার হয়ে গেলে আর ফিডব্যাক দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আপনি বায়ারের সাথে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন আপনার সাথে বায়ারের সম্পর্ক কেমন এবং বায়ার আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন।  ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে পরবর্তী সময়ে ভালো কাজ পেতে সমস্যা হয়। তবে আপনি ইচ্ছা করলে ওই বাজে ফিডব্যাক মুছে ফেলতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেনডিং (Pending)-এ থেকে তারপর আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
অর্থ তোলার পদ্ধতি
অনেক কাজ করেছেন। আপনার অ্যাকাউন্টে অনেক ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে আনবেন কীভাবে? অর্থ উত্তোলনের অনেকগুলো পেমেন্ট মেথড বা উপায় আছে। আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অয়্যার ট্রান্সফার (Wire Transfer)।
অয়্যার ট্রান্সফার পদ্ধতি
অয়্যার ট্রান্সফার হলো অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করা। এর জন্য বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড পদ্ধতি
অর্থ উত্তোলন করার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো Payoneer Debit Card। তবে এটি একটু ব্যয়বহুল।

গুগল আনল অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান ফোন


অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান ব্র্যান্ডের কম দামে নতুন একটি স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। গুগলের এ ব্র্যান্ডের নতুন এই স্মার্টফোন ভারতের বাজারে চালু হয়েছে। স্থানীয় নেটওয়ার্ক-সুবিধা ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েডের হালনাগাদ সংস্করণ নামানোর পাশাপাশি নতুন নতুন অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সুবিধা যাতে পাওয়া যায়, সেই চিন্তা থেকে ভারতের বাজারে চালু হলো এ স্মার্টফোন। এ ছাড়া সাশ্রয়ী দামে ভালো মান ও ইন্টারনেট-সুবিধার ফোন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এটি বাজারে ছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গুগলের অ্যান্ড্রয়েড বিভাগের প্রধান সুন্দর পিশাই বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোয় আপাতত অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান ফোন ছাড়ার তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। তবে শিগগিরই ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বাজারে এই ফোন পাওয়া যাবে।
স্মার্টফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান প্রকল্পের মাধ্যমে বাজারে আনা হয়েছে। এর নিরাপত্তা থেকে শুরু করে হালনাগাদ ও সফটওয়্যার-সংক্রান্ত সব দায়িত্ব নেবে গুগল। ভারতের বাজারে নতুন এ স্মার্টফোন প্রস্তুত করে দিচ্ছে মাইক্রোম্যাক্স, স্পাইস ও কার্বন। এতে রয়েছে ৪.৫ ইঞ্চি পর্দা, ১ গিগাবাইট র্যা ম, ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং সামনে ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, কোয়াড কোর প্রসেসর। গুগল জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডের এই স্মার্টফোনে এফএম রেডিওর অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যই থাকবে। দাম হবে ১০০ ডলারের মধ্যে।
—বিবিসি ও দ্য টেলিগ্রাফ অবলম্বনে কাজী আলম

হজ পালনের নির্দেশিকা মুঠোফোনে

বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য হজ পালনের নির্দেশনা নিয়ে মুঠোফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। মুঠোফোনে হজের দরকারি সব তথ্য পাওয়া সহজ করতে বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড পিলগ্রিম গাইড নামের এই অ্যাপ তৈরি করেছে। এটি ব্যবহার করতে চাইলে দরকার অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম-চালিত স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ সৌদি আরবের কোনো একটি মোবাইল ফোন সংযোগ। গুগল অ্যানড্রয়েড স্টোর থেকে বা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের ওয়েবসাইট (www.hajj.gov.bd) থেকে পিলগ্রিম গাইড অ্যাপটি নামিয়ে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যাবে। 
পিলগ্রিম গাইড অ্যাপ ইনস্টল হলে সেটিংস থেকে হাজি তাঁর পাসপোর্ট নম্বর বা পিলগ্রিম আইডি (৭ সংখ্যার নম্বর) ও জন্মতারিখ লিখে নিবন্ধন করবেন। এতে পথনির্দেশনা (ডিরেকশন), সংবাদ (নিউজ), নামাজের সময়, তথ্য (ইনফরমেশন), জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ এবং প্রোফাইল মেন্যু রয়েছে। 
নির্দেশনা (ডিরেকশন) মেনুতে আপনার গন্তব্যস্থান শুরু হবে কোথা থেকে, আর শেষ কোথায় হবে, এটা ঠিক করে নিলে গুগল ম্যাপসের মাধ্যমে পথের নির্দেশনা পাবেন। ধরা যাক আপনার মক্কার বাসা শুরুর স্থান নির্বাচন করলেন আর যেতে চান কাবা শরিফে। গন্তব্য হিসেবে কাবা শরিফ নির্বাচন করতে হবে। এরপর তা গুগল ম্যাপস গাড়ি বা পায়ে হাঁটা রাস্তার নির্দেশনা দেবে। একইভাবে মদিনা, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফার অবস্থানকে সেভ করে নিলে নির্দেশনা পাওয়া যাবে। 
সংবাদ মেনুতে সাম্প্রতিক সংবাদ থাকে। তথ্য (ইনফরমেশন) মেনুতে হারিয়ে গেলে কোথায় যাবেন। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ মেন্যুতে রয়েছে হজ কার্যালয় ঢাকা, হজ আইটি ডেস্ক মক্কা, মদিনা, জেদ্দা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের টেলিফোন নম্বর। প্রোফাইল মেন্যুতে নাম, পিলগ্রিম আইডি, গাইড, ফোন, এজেন্সি ফোন, দেশে ফেরার তারিখ চাইলে আপনি দেখতে পারবেন। —ফেরদৌস ফয়সাল

Monday, September 15, 2014

সৌদি আরবে সোশাল মিডিয়া যেন 'খরার মাঝে বৃষ্টি'

সৌদি আরবের কোনো টেলিভিশন চ্যানেল খুললেই সেখানে ধর্মোপদেশ দিচ্ছে এমন কোনো অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন। অনেকেই এসব নিরানন্দ অনুষ্ঠানের একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে কম্পিউটারে ইউটিউবসহ অন্যান্য অনলাইন ব্রডকাস্টার এর দিকে ঝুঁকছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ বিষয়টি বিশ্বের আর কোনো দেশের প্রেক্ষিতে অবাক হওয়ার মতো না হলেও সৌদি আরবের ক্ষেত্রে বেশ বিস্ময়কর ঘটনা বটে, বলা হয় ওই প্রতিবেদনে। আর এই সংস্কৃতির উন্মেষ ঘটছে জেদ্দাসহ বিভিন্ন শহরে মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের বদৌলতে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান আধুনিক জনগোষ্ঠী চিত্তবিনোদনের জন্য এখন অনলাইনের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে।
সৌদির এমনই এক প্রতিষ্ঠান ইউটার্ন এন্টারটেইনমেন্ট। এখানে আসেন আলখেল্লা পরা পুরুষ আর বোরকায় ঢাকা নারীরা। তারা কাচে ঘেরা অফিসে এসে টেবিল ফুটবল খেলেন। নিজেদের ইউটিউব অ্যাকাউন্টের জন্য তারা ভিডিও করেন। এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। ইউটার্ন বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নাটকও প্রচার করে। এসব অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষের সম্পর্কের নানা ব্যাখ্যা ও উপদেশ দেওয়া হয়। নতুন এক জরিপে বলা হয়, সৌদির নারী-পুরুষরা প্রতিদিন ৭টি ভিডিও ইউটিউবে দেখে থাকেন।
শুধু তাই নয়, সৌদির মানুষের ৬০ শতাংশের টুইটারে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। টুইটারের গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে এখন প্রথম স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। এ দেশের ৩১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৮ মিলিয়নের ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ই-মেইল তো রয়েছে অসংখ্য মানুষের।
গবেষণায় বলা হয়, এ দেশের তরুণ সমাজ এই পরিবর্তন আনছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশের বয়স ২৬ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। তারা অনেক সময় নিজেদের জীবনের চাওয়া-পাওয়ার কথা নাম না প্রকাশ করে সোশাল মিডিয়ায় তুলে দিচ্ছেন। সৌদিতে সিনেমা নিষিদ্ধ হওয়ায় সোশাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে হচ্ছে মানুষদের।
বিশেষজ্ঞরা এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন বলে মনে করছেন। অবশ্য এখন পর্যন্ত সৌদির শাসকরা সোশাল মিডিয়ার এই প্রসারণকে খুব সহজে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাদের সমাজে এখন পর্যন্ত নারীদের বাইরে যেতে বা চিকিৎসা করাতে বা লেখাপড়া করতে বাড়ির কর্তার অনুমতি নিতে হয়। এখানকার সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ৮৭ শতাংশই পুরুষ। তবে সিরিয়ায় জিহাদি যুদ্ধের কারণে সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার ছড়িয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
সোশাল মিডিয়ার উত্থান সৌদির সমাজের মৌলিক পরিবর্তন বলে মনে করছেন তরুণ সমাজ। রিয়াদের এক শিক্ষার্থী বলেন, শাসকরা আর কিছুই গোপন করে রাখতে পারবে না। যখন মধ্যপ্রাচ্যে এক মরণঘাতী ভাইরাস হুমকি হয়ে উঠছে, তখন শাসকরা এর সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করতে চাইছেন না। কিন্তু টুইটার ও ফেসবুকের কল্যাণে নিয়মিত সবাই তথ্য সংগ্রহ করছেন।
এদিকে, রাজবংশে চলমান নানা ঘাত-প্রতিঘাত-সংক্রান্ত ঘটনাও আর ধামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না। সবই প্রকাশ হয়ে পড়ছে প্রযুক্তির কল্যাণে। তাই সমাজের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তারাও আর আগের মতো কঠোর নীতি গ্রহণ করতে পারছে না।
গত জুনের ২৫ তারিখে মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ফওজান আল-হারবিকে ৭ বছরের জেল দেওয়া হয় এক 'ক্ষতিকর তথ্য' প্রকাশের জন্য। দেশটিতে ২০০৭ সালে আইনের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ বিষয়কে সংজ্ঞায়িত করা হয়। অন্যদিকে, জুনের প্রথম দিকেই নিউ ইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, সৌদির পূর্বাংশের সংখ্যালঘু ও সুবিধাবঞ্চিত শিয়া সম্প্রদায়ের কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করছে।
যেখানে যাই ঘটুক, সৌদিতে যে সোশাল মিডিয়া মানুষের কাছে খরার বৃষ্টির হয়ে দেখা দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার

ব্যক্তিত্বের হদিস দেবে ফেসবুকের টাইমলাইন

ফেসবুকের সঙ্গে খেলাচ্ছলে বহু সময় কাটান অনেকেই। কিন্তু অচেনা মানুষের চরিত্রের বহু খুঁটিনাটি সঠিকভাবে বোঝার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে ওর মধ্যেই, সেটা জানা আছে কি? অন্তত কাননাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের সমীক্ষা সেটাই বলছে। পরীক্ষার নমুনা হিসেবে ১০০ জনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। নিজেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানানোর জন্য ওই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিশেষ ফর্ম পূরণ করতেও বলা হয়েছিল।
ফেসবুকে তাঁদের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখছিলেন একদল কোডার। মোট ৫৩ ধরনের সূত্রের ভিত্তিতে বোঝার চেষ্টা চলছিল, নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ কোনো ফেসবুকে কোনো নির্দিষ্ট কাজ বেশি করেন কি না। অন্যদিকে, শুধুমাত্র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ১০০ জনের চরিত্রের বিভিন্ন দিক আন্দাজ করতে বলা হয়েছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত ৩৫ জন ব্যক্তিকে। গবেষণায় প্রকাশ, তাঁদের আন্দাজ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরোপুরি মিলে গিয়েছে।
দেখা গিয়েছে, বহির্মুখি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে ফেসবুকের মাধ্যমে সবথেকে সহজে বোঝা যায়। এই তালিকায় তার পরই রয়েছে উদারতা এবং গ্রহণযোগ্যতার মতো বৈশিষ্ট্য। উল্লিখিত ৫৩টি সূত্রের মধ্যে মাত্র একটির সাহায্যে বিবেকবান চরিত্রকে বোঝা যায়। কিন্তু কেউ স্নায়ুরোগে ভুগলে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
তবে ২০১১ সালের পরে ফেসবুকের গঠনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। আগে বন্ধুদের সমস্ত কাজকর্ম পর্দায় বড় করে দেখা যেত। কিন্তু এখন ফেসবুক-স্ক্রিনের ডানদিকের উপরের কোণের দিকে একটি ছোট বাক্সে তা সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে কে কী করছে, তা কম চোখে পড়ায় চরিত্র নির্ধারণ প্রক্রিয়া কঠিনতর হয়েছে।

Monday, September 8, 2014

জেনে নিন অতিরিক্ত লবন খেয়ে প্রাণ হারান ১৬ লক্ষ মানুষ


অতিরিক্ত পরিমাণ লবন খেয়ে সারা পৃথিবীতে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন বহু মানুষ। নতুন এক গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রত্যেক বছর ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যান অতিরিক্ত শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম জমা হওয়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী দিনে ২ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিৎ নয়। গবেষকরা ১৮৭টি দেশের সাধারণ মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন বহু ক্ষেত্রেই দিনে এর থেকে বেশি পরিমাণ নুন খেয়ে থাকেন তারা।
অতিরিক্ত পরিমাণ নুন উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।
গবেষক সারা পৃথিবী জুড়ে ২০৫টি সমীক্ষা করে দেখেছেন একজন মানুষ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩.৯৫ গ্রাম নুন খেয়ে থাকেন। অর্থাৎ যা নির্ধারিত পরিমাণের প্রায় দ্বিগুণ।
মধ্য এশিয়ায় নুন খাওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি। এই অঞ্চলের কোনও ব্যক্তি দিনে গড়ে প্রায় ৫.৫১ গ্রাম নুন খেয়ে থাকেন।

জেনে নিন যে উপকারী মসলাগুলো কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকি !


 ক্যান্সারের মতো মারাত্মক মরণব্যধির কথা আমাদের কারোরই অজানা নেই। আজ পর্যন্ত প্রতিষেধক তৈরি না হওয়া এই মরণব্যধি তাই নির্মূলের চাইতে প্রতিরোধ সহজ। পুরো বিশ্বের অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম।
গবেষণায় দেখা যায় কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। এবং এই ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব কিছু মসলার মাধ্যমেও। এগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন দেখে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় যে উপকারী মসলাগুলো যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।
হলুদ
মসলার রাজা হলুদ, কারণ আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি খাবারেই এই জিনিসটির ব্যবহার রয়েছে। সেই সাথে অনেক রোগের ঔষধও এই হলুদ। হলুদে রয়েছে পলিফেনল কারকিউমিন যা মূত্রনালির ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, প্যানক্রিয়েট ক্যান্সার ও লিউকোমিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।
জিরা
ফোটো নিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর জিরা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্যান্সার বৃদ্ধিকারি এনজাইমগুলোকে প্রতিহত করে থাকে।
জাফরান
জাফরানে রয়েছে প্রাকৃতিক স্যারোটেনয়েড ডাইকার্বোক্সি এসিড যা ক্রোসেটিন নামে পরিচিত। এই ক্রোসেটিন প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নির্মূলে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। যদিও এটি বিশ্বের সবচাইতে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু খুবই সামান্য পরিমাণে এই জাফরানের ব্যবহার আপনার দেহকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত।
দারুচিনি
প্রতিদিন মাত্র আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত রাখবে সারাজীবন। আয়রন, ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই মসলাটি দেহে টিউমার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ক্যান্সার দূরে রাখে। সকালে ১ কাপ দারুচিনির চা এবং রান্নায় সামান্য দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করেই আপনি থাকতে পারেন নিশ্চিন্তে।
অরেগেনো
পিৎজা ও পাস্তার ওপরে টপিং হিসেবে অরেগেনো অনেকেরই পছন্দের। এর পাশাপাশি এই মসলাটি আপনাকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুকিমুক্ত। অরেগেনোর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমূহ দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে।
আদা
সাধারণ নানা ছোটোখাটো রোগের থেকে মুক্তি দেয় এই আদা। কিন্তু অনেকেই জানেন না এটি আমাদের মুক্তি দিতে পারে মরনব্যধি ক্যান্সার থেকেও। আদা আমাদের দেহের কলেস্টোরলের মাত্রা কমায়, হজমে সহায়তা করে এবং ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সহায়তা করে। রান্নায় আদার ব্যবহার বাড়িয়ে পরিবারকে রাখুন ক্যান্সার মুক্ত।
অন্যান্য
লবঙ্গ, রসুন, মেথি, সরিষা, পুদিনা, রোজমেরি, তাজা লেবু, ভিনেগার ইত্যাদি মসলাগুলোর মধ্যেও রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুনাগুন।




প্রতারণার নতুন কৌশল বিকাশ এবং গ্রামীণফোন


মাকে প্রতি মাসে টাকা পাঠাতে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছিল। গ্রামের বাড়ি থেকে পোস্ট অফিস মাইলখানেক দূরে। সমস্ত প্রচেষ্টার পরও মা তার সিদ্ধান্তে অনড়, যতদিন বাঁচবেন আপন ভিটাতেই থাকবেন। ছেলে-মেয়েরা যে যার কর্মে ব্যস্ত। তবুও তারা রুটিন করে পালাক্রমে মায়ের খোঁজ নেয়, দেখতে যায়। তারপরও সমস্যা কাটে না। মাকে প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ে টাকা পাঠালেও মায়ের হাতে টাকাটা নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে না। কখনো পোস্ট মাস্টারের অবহেলা, কখনো দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সঠিক সময়ে ডাক না পৌঁছা ইত্যাদি বিঘ্ন লেগেই থাকে। এর সঙ্গে রয়েছে সাপ্তাহিক সরকারি ছুটিসহ নানান ছুটি। তাই মাকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল বিকাশ- এর খোঁজ। এই ব্যবস্থায় মাকে টাকা পাঠাতে আর সমস্যা থাকল না। যখন-তখন টাকা পাঠিয়ে দিলেই হলো। মায়ের হাতে যথাসময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে।
কিন্তু ভয়ংকর এক সমস্যা দেখা দিল। বিকাশ তাদের ব্যবসায়ের প্রসারে এর সহজলভ্যতা এমন পর্যায়ে নিয়ে গেল যে, কেউ ইচ্ছা করলেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে দশ টাকার বিনিময়ে। এই সহজ পদ্ধতি এখন বিনাপয়সায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রয়োজন পড়ে না সামান্য কাগজপত্রেরও। যে কোনো এজেন্টের কাছে গিয়ে বললেই করে দেওয়া হয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট। এর মাধ্যমে ইচ্ছেমতো করা যায় টাকা লেনদেন। কে, কোথায়, কাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তার সামান্য তথ্যপ্রমাণও থাকছে না। কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, চোরাকারবারিরা নিরাপদে অর্থ লেনদেন করছে বিকাশের মাধ্যমে। এর সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে প্রতারক চক্র। যার সামান্য দায়ভার নেয় না বিকাশ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি গ্রামাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে, উড়ো ফোন আসে টার্গেট করা ব্যক্তির কাছে। প্রতারক যেহেতু প্রতারক, তার বলনেও থাকে প্রতারণার নানান কৌশল। টার্গেট করা ব্যক্তিকে তারা রীতিমতো সম্মোহিত করে ফেলে। নানা প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেয় অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে পরামর্শ করা বা কথা বলা থেকে। তাদের প্রতারণার প্রধান প্রলোভন হলো বিশ্বস্ততার সঙ্গে টার্গেট করা ব্যক্তিকে তাদের আস্থায় নিয়ে যাওয়া। এরপর বলা হয়, টার্গেট করা ব্যক্তি লটারিতে একটি গাড়ি পেয়েছেন। গাড়িটি বুঝে নিতে হলে কি কি করতে হবে তাও বলে দেওয়া হচ্ছে। বলা হয়, টার্গেট করা সম্মোহিত ব্যক্তিটি গাড়ির পরিবর্তে টাকা নিতে চাইলে সে ব্যবস্থাও করা হবে।
টার্গেট করা ব্যক্তিটিকে তাদের আস্থায় নিতে প্রতারকরা পনের থেকে বিশ হাজার টাকা অগ্রিম পাঠিয়েও দিচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে। এ অবস্থায় টার্গেট করা ব্যক্তিটি যতক্ষণ প্রতারকদের চাহিদামতো টাকা না পাঠায় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত থাকে। বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা প্রতারকদের কাছে পাঠানোর পর যখন তারা নিশ্চিত হয় তাদের প্রতারণা সফল, সেই থেকে আর তাদের ফোনে পাওয়া যায় না। যেহেতু ওই ফোন নাম্বারটিই বিকাশ অ্যাকাউন্টের নাম্বার, তাই তারা নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়। কিংবা ধারণা করছি, টাকাটা তুলে তারা সিমটি ধ্বংস করে ফেলে। আশ্চর্যের বিষয়, প্রতারণায় ব্যবহার করা সবগুলো নাম্বার গ্রামীণফোনের। এই ধরনের অন্তত দুটি ঘটনা আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মধ্যে ঘটে গেল গত এক সপ্তাহে। এ থেকে প্রতিকারের উপায় আমার জানা নেই। এই দুই আত্মীয়ের প্রত্যেকের কাছ থেকে লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এ নিয়ে দৈনিক পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যদি দ্রুত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ এবং প্রচার করে তবে গ্রামের বহু মানুষ প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পায়। আর বিকাশ এবং গ্রামীণফোনকে কিভাবে দায়ের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়টিতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিকাশের লাগামহীন দায়িত্বহীনতা বহু মানুষকে পথে বসিয়ে দিতে শুরু করেছে। এসব প্রতারণার সঙ্গে এজেন্টরা যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা জরুরি।

সুন্দর জীবন পেতে চাই সুস্থ সম্পর্ক


(প্রিয়.কম)- অনেকেই দাবী করে থাকেন, ভালো একটি প্রেমের সম্পর্কে থাকা অবস্থায় তাদের জীবন হয়ে ওঠে হাসিখুশি এবং স্বাস্থ্যকর। কিন্তু কীভাবে এমন একটি সম্পর্ক তৈরি হয়? আর এর মাধ্যমে কীভাবে জীবন আগের চাইতে ভালো হয়ে ওঠে? সম্পর্ক কীভাবে আপনার জীবনকে আগের চাইতে ভালো (অথবা খারাপ) করে ফেলতে পারে, নতুন একটি গবেষণায় ঠিক এটাই পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে স্বাস্থ্যকর একটি সম্পর্ক। একই সাথে লক্ষ্য পূরণ এবং প্রতিভার অনুশীলনেও তা সহায়ক। জীবনের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে থাকে ইতিবাচক। শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো হতে দেখা যায়। এই সম্পর্ক যে শুধু রোমান্টিক হতে হবে তা নয়। পিতামাতা, বন্ধু এবং শিক্ষকদের ভালোবাসাও এক্ষেত্রে কাজ করে।

প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা

জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন সবদিক থেকে সমস্যা আসতে থাকে। নিজেকে খুব একা মনে হয়। সে সময়টায় কারো সার্বক্ষণিক সমর্থন অনেকটাই সাহস যোগায় একজন মানুষকে। প্রথমত, সমর্থন থাকায় মানুষটি তার কাছে গিয়েই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন, নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারেন। আর এর পর তিনি শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন এই সমর্থনকারীর কাছ থেকেই। সমস্যা মোকাবিলা এবং সমাধানে এভাবেই কাজে লাগে প্রিয়জনের সমর্থন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিবাহবিচ্ছেদের পর একজন মানুষকে এভাবে সমর্থন দিতে পারেন তার বন্ধুরা। তার সমস্যাগুলো তারা মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারেন, সমাধানের ব্যাপারে উপদেশ দিতে পারেন, তাকে সাহস দিতে পারেন। এতে তিনি নিজের জীবনের প্রতি আরও ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারেন।

সাধারণ জীবনকে করে তোলে অর্থবহ

জীবনে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও, সুস্থ একটি সম্পর্ক দৈনন্দিন জীবনেই একজন মানুষকে করে তোলে সুখী এবং সফল। পাশে একজন মানুষ থাকলে আমরা ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির করতে ভরসা পাই। এমনকি ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার ক্ষেত্রেও একা হয়ে যেতে হয় না।
কিন্তু অনেক সময়ে সমর্থন দেবার এই মানুষটিই হয়ে পড়েন অশান্তির কারণ। সম্পর্ক যে জীবনকে অসুখীও করে তুলতে পারে তা এখানে বোঝা যায়। উদাহরণস্বরূপ, তারা অসতর্ক হয়ে ওই ব্যক্তিটিকে এমন কিছু বলে বসতে পারেন যাতে তিনি নিজেকে দুর্বল, দুর্ভাগা অথবা অন্যদের জন্য বোঝা মনে করতে পারেন। এতে সম্পর্কটা হয়ে পড়ে বিষাক্ত এবং উপকারের বদলে ক্ষতিই হয়ে যায়।

সম্পর্কের বিজ্ঞান

নতুন এই গবেষণায় প্রায় ৪০০ টি পুরনো গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। বিগত ১৫ বছরের মাঝে সংঘটিত এই গবেষণাগুলোতে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা হয়েছিলো। এসবের রিভিউ করে যে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা পরিবারের মানুষের মাঝে সম্পর্কের উন্নয়নে কাজে আসতে পারে। এ ছাড়াও যেসব শিক্ষকেরা নিজেদের শিক্ষার্থীদের জীবন উন্নত করতে চান, তাদের কাজেও আসতে পারে।

Thursday, September 4, 2014

ঘরে বসে আয়-1


ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকেরই নতুন এই ক্ষেত্রটিতে আগ্রহ রয়েছে। অনেকেই জানতে চান বিষয়টি কী এবং কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। পাঠকদের কাছে ফ্রিল্যান্সিংকে সহজভাবে তুলে ধরতেই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আদ্যোপান্ত। আজকে রইলো এর প্রতিবেদনটির প্রথম পর্ব।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দ দুটি বাংলাদেশে অনেকের কাছেই পরিচিত। দেশের প্রচুর ওয়েবসাইট ডেভেলপার, গ্রাফিকস ডিজাইনার, রাইটার, মার্কেটার বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সফলতার সাথে কাজ করছেন, আবার অনেকেই নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। নতুনদের কাছে যে বিষয়টা প্রায়ই শোনা যায় তা হলো এই পেশায় সহজে সাফল্য পাওয়া যায় না। বিষয়টা কিছুটা হলেও সত্যি। যেকোনো একটি নির্দিষ্ট কাজের এবং ইংরেজি মাধ্যমে যোগাযোগের দক্ষতা না থাকলে আসলে এই পেশায় সাফল্য পাওয়া কঠিন। অবশ্য শুধু এই দুইটি যোগ্যতা থাকলেই যে সাফল্যের চূড়ায় যাওয়া যাবে, তাও ঠিক নয়। সাময়িক সাফল্য পাওয়া এবং নিজেকে একটি পেশায় প্রতিষ্ঠিত করা এক কথা নয়। যদি লম্বা ভবিষ্যত্ ঠিক করে এই পেশায় এগিয়ে যেতে চান তাহলে নিজেকে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে তৈরি করতে হবে, যাতে শুধু কাজের দক্ষতা নয়, অন্যান্য সব দিক দিয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের একজন পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা যায়।
আউটসোর্সিং বিষয়টি কী?ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিং সাইটে যিনি কাজ করেন তাঁকে বলে কনট্রাক্টর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন তাঁকে বলে বায়ার/ক্লায়েন্ট (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়আউটসোর্সিং সাইটের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব 
 ডেভেলপমেন্ট (Web Development), সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software
Development), নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (Networking & Information Systems), লেখা ও অনুবাদ (Writing & Translation), প্রশাসনিক সহায়তা (Administrative Support), ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া (Design & Multimedia), গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন (Sales & Marketing), ব্যবসা-সেবা (Business Services) ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঅনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছেএই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টএই বিভাগের মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপিস্নকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফ্টওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সফ্টওয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমএর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ (ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপিস্নমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
এর মধ্যে আছে টেকনিক্যাল রাইটিং,  ওয়েবসাইট কনটেন্ট, বস্নগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া
এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি (3D) মডেলিং, অটোক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস
এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
সেলস ও মার্কেটিং
এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), পিআর (পাবলিক রিলেশনস), টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভে, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস
এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড পস্ন্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসালটিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি।
কোন কাজের কী যোগ্যতা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে সফ্টওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন জাভা, সি-শার্প, ভিজুয়্যাল বেসিক, ডেটাবেইস (মাইএসকিউএল, ওরাকল, এমএস এসকিউএল সার্ভার) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলোর ওপরও এক-দুইটা টেস্ট দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম
এই বিভাগের কাজের জন্য ডেটাবেজ, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
অনলাইনে কাজের জন্য চাই দক্ষতালেখা ও অনুবাদ (রাইটিং ও ট্রান্সলেশন)এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্টএই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, বস্নগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার) ইত্যাদি সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়াএই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ফ্লাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়। অডিও, ভিডিও এডিটিংয়ের ওপরও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
কাস্টমার সার্ভিসএই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা এবং বলা দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
সেলস ও মার্কেটিং
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং (ফেসবুক, গুগলপ্লাস, টুইটার), মার্কেটিং, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস
এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
কাজ পাবেন যেখানে
আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার অনেক ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করা ভালো। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা হলো-
মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইল
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্স ও ওডেস্ক এখন একসঙ্গেই কাজ করছেবর্তমানে ৪-৫টি আন্ত্মর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে কাজ করে বড় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি বিষয় কমন থাকে আর সেটা হলো একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করা। সাধারণ কাজে যেমন সিভি দেখে চাকরি দেয়া না দেয়ার বিষয়টি নির্ধারণ হয় তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও আপনার প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার যোগ্য কি না। এর জন্য প্রোফাইলকে যতটুকু সম্ভব আকর্ষণীয় করে তৈরি করুন। প্রোফাইলে যেগুলো না থাকলেই নয়-
হাসিমুখে তোলা একটি ছবি যেখানে আপনার চেহারা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে।
স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো। ইল্যান্স.কমে ফ্রিতেই প্রচুর স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ যা-ই হোন না কেন সেই স্কিলে আপনার যথেষ্ট তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে।
পোর্টফলিও আইটেম যোগ করা উচিত। পোর্টফলিও আইটেম হিসেবে নিজের তৈরি লোগো, নিজের বানানো ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি করা কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে। এর সাথে যদি স্কিল টেস্ট থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট জেনে যাবে যে আপনার শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে তাই নয়, তার সাথে প্র্যাকটিক্যাল কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে।
বিষয়টি অনেকটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার মতো। একদম খালি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালে যেমন কেউ আপনাকে সহজে অ্যাড করবে না, ঠিক তেমনি একদম খালি, অনাকর্ষণীয় একটি ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করে কাজে আবেদন করলে ক্লায়েন্টরাও সাড়া দেবে না।

সামাজিক যোগাযোগে পোস্ট লিখে আয়!


ফেসবুকে পোস্ট লিখলেই কি আর টাকা মেলে? সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক, টুইটারে পোস্ট লিখে শুধু মনের খোরাক হয়, অর্থ আয় করা যায় না। ফেসবুকে আপনার লেখা পোস্ট লাইক, শেয়ারে ভরে যাবে কিন্তু অর্থ-কড়ি কিছুই আসবে না। আপনি কষ্ট করে পোস্ট লিখবেন আর আপনার লেখা সে পোস্ট থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করবে ফেসবুক? এই ধারণাটি পরিবর্তন করার চেষ্টাও চলছে প্রযুক্তি বিশ্বে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুটি উদ্যোগ এই ধারণাকে পরিবর্তন করে দিতে কাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি এ ধরনের সাইট ব্যবহারকারীরা যাতে অর্থ উপার্জন করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে ‘বাবলিউজ’ ও ‘বোনজো মি’ নামের দুটি সাইট তৈরি হয়েছে। ইকনমিক টাইমসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাবলিউজ হচ্ছে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, যেটি সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করেছে। এই সাইটে পোস্ট লিখে অর্থ আয় করতে পারবেন ব্যবহারকারী। যার পোস্ট যত ভিজিটর ও বিজ্ঞাপন টানবে তার তত বেশি অর্থ আয় হবে। বোনজো মির উদ্যোক্তারাও এই ধারণা নিয়েই কাজ শুরু করেছেন।
বোনজো মির উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মাইকেল নুজবাম বলেন, ‘অনেকের মতোই আমার মনে হয় সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে যথেষ্ট সুবিধা নিয়ে এসেছে। ফেসবুক প্রচুর অর্থ কামাচ্ছে আর ফেসবুকে যাঁরা কনটেন্ট দিচ্ছেন তাঁরা কিছুই পাচ্ছেন না। বোনজো মি ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন থেকে যে অর্থ আয় হবে তার ৮০ শতাংশ দিয়ে দেবে।
অবশ্য ব্যবহারকারীদের অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাবলিউজের ধারণাটি আরও জটিল। প্রতিটি পোস্ট কতবার ক্লিক হচ্ছে এবং তা কতখানি জনপ্রিয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে অর্থ পরিশোধ করবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
বাবলিউজের প্রধান নির্বাহী আরভিন দীক্ষিত বলেন, আমাদের সাইটে আসার জন্য কাউকে চাকরি ছাড়ার দরকার নেই। আমরা ব্যবহারকারীদের কাছে স্বচ্ছ থাকতে চাই। সামাজিক যোগাযোগের সাইট এমন হওয়া উচিত নয় যেখানে আপনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হবে।
এই সাইটে লেখা পোস্ট যেন আজেবাজে না হয় এবং তা যেন কাজের উপযোগী পোস্ট হয় সে বিষয়টিতে উত্সাহ দিতেও কাজ করছে বাবলিউজ। এই সাইটে প্রতিটি পোস্ট কমপক্ষে ৪০০ অক্ষরের হতে হবে।
এই ধরনের উদ্যোগ কী সফল হবে? প্রযুক্তি বিশ্লেষক রব এনড্রিলের মতে, বাবলিউজের মতো এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে আকর্ষণ করবে। কারণ, বিনামূল্যে কনটেন্ট পাওয়ার মডেল স্থায়ী নয়।
রব এনড্রিল বলেন, আপনি কনটেন্টের জন্য মূল্য পরিশোধ না করলে ভালো মানের কনটেন্ট পাবেন না। শুধু লাইক পেলে তো আর তা কাজে লাগানো যায় না।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি করছে। ফেসবুকের প্রাইভেসি বিষয়ক নীতিমালা নিয়ে মানুষ সমালোচনা করছে। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নিয়ে মানুষের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ফেসবুকের বিতর্কিত গবেষণার মতো অনেক বিষয়ও রয়েছে।
ফেসবুকে প্রায় ১৩০ কোটি ব্যবহারকারী আছেন। মোবাইল ফোন থেকে এই সাইটে মানুষ বেশি সময় কাটায় বলে বিজ্ঞাপনদাতারাও ফেসবুকে টাকা ঢালেন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের মতে, ফেসবুকের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ভবিষ্যতে আরও বাড়ছে। ফেসবুকের পাশাপাশি মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কেটিং টুল হিসেবে এখন ফেসবুক ও টুইটারকে কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট তৈরি করে নতুন উদ্যোক্তারাও অর্থ আয় করতে চান, তবে তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে যাঁরা এই সাইটে সময় দিয়ে পোস্ট লিখবেন তাঁরাও যেন হাতখরচটা অন্তত পান।
বোনজো মি সাইটটির এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘আমরা এমন একটি যুগে বাস করছি যেখানে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে আপনার লেখা যেকোনো পোস্ট ভাইরাল হয়ে যেতে পারে আর এর সুবাদে হাতে কিছু অর্থও চলে আসতে পারে।

Tuesday, September 2, 2014

ইন্টারনেট গতি কার কেমন

ইন্টারনেটের গতি মাপার স্পিডটেস্ট নামের অনলাইনভিত্তিক প্রোগ্রামটি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহারকারীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। ব্রডব্যান্ড অথবা তারহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে ঠিক কী পরিমাণ গতি ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করছে, সেটা সহজে দেখা যায় এ টুলটি দিয়ে। ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার থেকে নিজেদের ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি সরাসরি অনলাইনে তো মাপা যায়ই, অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস কিংবা উইন্ডোজ স্মার্টফোনের জন্য স্পিডটেস্টের রয়েছে আলাদা আলাদা অ্যাপ। ফলে বহনযোগ্য বিভিন্ন যন্ত্রেও অ্যাপটি নামিয়ে ইন্টারনেটের গতি মাপা যাবে। এর পাশাপাশি গুগল ক্রোম ব্রাউজারের জন্য নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ ছেড়েছে স্পিডটেস্ট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবার ক্রোম ব্রাউজার খোলার পর অথবা যখনই মনে হবে ইন্টারনেটের গতি কম পাচ্ছেন তখনই গতিটা পরখ করতে পারবেন হালকা-পাতলা সংস্করণের এই অ্যাপ দিয়ে। যেকোনো ব্রাউজার থেকে অনলাইনে গতি মাপতে চাইলে সরাসরি http://sh.st/tZgGl  নামের এই ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে সেটা করতে পারবেন। শুধু ক্রোম ব্রাউজারের জন্য স্পিডটেস্টের নির্দিষ্ট অ্যাপটি ইনস্টল করা যাবে http://sh.st/tZgNn ঠিকানা থেকে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপটি নামানো যাবে http://sh.st/tZhqIএই ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে। এভাবে স্পিডটেস্টের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে তথ্য নামানো এবং পাঠানো উভয় ক্ষেত্রের জন্য বর্তমান গতিটা গণনা করা যাবে।

Image

Free Updates to Email
Follow Me:
facebook twitter gplus pinterest rss
https://www.facebook.com/rubel29bd